চট্টগ্রামের প্রথম এবং দেশি-বিদেশীদের কাছে বহুল জনপ্রিয় সুপারশপ ‘খুলশী মার্ট’র ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ব্যতিক্রমি মানবিক উদ্যোগ গ্রহন করেছে কর্তৃপক্ষ। ‘টুগেদার ফর হিউমিনিটি’ শিরোনামে খুলশী মার্টের সিইও সরফরাজ আলী কর্তৃক গৃহীত এই ব্যতিক্রমি মানবিক উদ্যেগের আওতায় ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে ২০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত খুলশী মার্ট থেকে শপিং করলেই ৫% ডিসকাউন্টের সমপরিমাণ নগদ অর্থ পাবে তিনটি মানবিক সংগঠন। এই সংগঠনগুলো হলো বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, আল মানাহিল এবং জাগো ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে খুলশী মার্ট-এ ১৫ তম বর্ষপূর্তি ও মানবিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খুলশী মার্ট’র চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী। উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস গুলশানা আলী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ইসি মেম্বার জামাল উদ্দিন, আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিন এবং জাগো ফাউন্ডেশনের ন্যাশনাল বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌমেন বড়ুয়া।
মার্ট প্রমোটরস লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠান খুলশী মার্ট’র ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাখের হোসাইন জানান, চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত খুলশী এলাকায় গত ১৫ বছর ধরে দেশি বিদেশী গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সেবা দিয়ে আসছে খুলশী মার্ট। সকল ধরনের পণ্যের সর্বোচ্চ গুণগত মান সুনিশ্চিত করে বিশ্বমানের পণ্য নিশ্চিত করে এই সুপারশপ। ১১ ফেব্রুয়ারী খুলশী মার্ট পুর্ণ করেছে সাফল্যময় অগ্রযাত্রার ১৫ বছর। এবারের বর্ষপূর্তিতে এ উপলক্ষ্যে খুলশী মার্টের সকল ক্রেতা সাধারণের জন্য ১০ দিন ব্যাপী শপিং ফেস্ট-এর আয়োজন করা হয়েছে। এই শপিং ফেস্টে প্রতিদিন ১০ জন ক্রেতা পাবেন ফ্রি শপিং করার সুবিধা।
একই সাথে ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে ২০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত খূলশী মার্ট থেকে শপিং করলেই ৫% ডিসকাউন্টের সমপরিমাণ নগদ অর্থ দেয়া হবে তিনটি মানবিক সংগঠনকে। এছাড়া ১০ দিনে সকল বিক্রয়ের ৫% হরে যে নগদ অর্থ ক্রেতাদের পক্ষ থেকে মানবিক সংগঠনগুলো পাবে সেই অর্থের অতিরিক্ত আরো ৫০% অর্থ মানবিক সংগঠনগুলোকে নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করবে খুলশী মার্ট কর্তৃপক্ষ।
খুলশী মার্ট’র ব্যবস্থাপক (ক্রয়) মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব মানিক জানান, ১৫ বছর পূর্তিতে ১০ দিনের শপিং ফেস্টে খুলশী মার্ট থেকে শপিং করে মানবিক উদ্যোগে সহযোগী হওয়ার জন্য সকল শ্রেণীর ক্রেতাদের আহ্বান জানান।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ইসি মেম্বার জামাল উদ্দিন জানান, একটি সুপারশপ কর্তৃপক্ষের মানবিক উদ্যোগ সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয়। এভাবে ক্রেতা স্বার্থ সংরক্ষন করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে মানবিক সংগঠনগুলো আরো বেশি আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করতে পারবে।