কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল ৮৭ বছর বয়সে বিয়ে করে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল নিজেই। তিনি নতুন জীবনে সুখে থাকার জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর দেশওয়ালীপট্টির ৪০ বছর বয়সী এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির পাঁচবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর পাঁচ ছেলে রয়েছে। তাঁর বিয়েতে ৫০ জনের মতো বরযাত্রী উপস্থিত ছিল। আইনজীবী ইসমাইলের বাসা কুমিল্লা আদালতের পাশেই।
এদিকে ইসমাইল হোসেনের বিয়ের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘রঙ্গরস’ শুরু হয়েছে। তবে অনেকে বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন।
নিঃসঙ্গতাবোধ থেকে তিনি বিয়ে করেছেন বলে অনেকের ধারণা। তাঁর প্রথম স্ত্রী মাহমুদা বেগম সাত বছর আগে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ৬৭ বছর বয়সে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন সাবেক রেলমন্ত্রী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক। তবে ওই বিয়েটি ছিল মন্ত্রীর প্রথম বিয়ে। মন্ত্রীর ওই বিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল ১৯৭০ সালের ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ওই সময় থেকে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এখনো তিনি নিয়মিত আদালতে যান, মামলা লড়েন।
কুমিল্লার আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন খান বলেন, ‘চাচার বিয়ের খবরটি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাঁর বিয়ের খবরে আমরা সবাই আনন্দিত। আমরা নবদম্পতির জন্য শুভ কামনা করছি।’
মোহাম্মদ ইসমাইলের বড় ছেলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি আগে জানতাম না। আব্বু বিয়ে করে আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন। পরে আমি গিয়ে তাদের দুজনকে বাসায় তুলে এনেছি।’
সোমবার রাতে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘শেষ জীবনে আসলে শরীরে শক্তি থাকে না। এ সময় একা চলা কষ্টের ব্যাপার। একজন সঙ্গী হলে পথচলা সহজ হয়। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার স্ত্রীর নাম মিনারা বেগম। তিনি একজন গৃহিণী।’
বয়স সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন আমার বয়স ৯০/৯৩ বছর, তবে এত হবে না। ৮৫ বছরের ওপরে, ৮৬ বা ৮৭ হতে পারে। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই। যেন বাকি জীবনটা মিনরাকে নিয়ে সুখে থাকতে পারি।’