দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়াসহ দলীয় নেতাকর্মী ও চট্টগ্রামবাসীর সুখে-দুঃখে অতীতের মতোই পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে পরাজিত বিএনপির মেয়র প্রার্থী মহানগর কমিটির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, তৃণমূল থেকে উঠে আজকের এ অবস্থানে এসেছি। আমার সঙ্গে চট্টগ্রামের জনগণের নাড়ির সম্পর্ক। মামলা-হামলা, নির্যাতন, নির্বাচনে জোর করে পরাজিত করে আমাকে দমানো যাবে না। জনগণের অধিকারের প্রশ্নে, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে আমি বিন্দুমাত্র আপোষ করব না।’
বুধবারের (২৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ডা. শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। নৌকা প্রতীকে তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
বিবৃতিতে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘মামলা-হামলা, সন্ত্রাসীদের হুমকি ধমকি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাহীন হয়রানি, পথে পথে বাধা-নির্যাতন, শত প্রতিকূলতার পরও চট্টগ্রামের জনগণ আমার তথা বিএনপির পক্ষে তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছিল। এ কারণে ভয় পেয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। অথচ ন্যূনতম সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলেই জনগণ আওয়ামী লীগ আর প্রশাসনের সকল চক্রান্ত ভণ্ডুল করে দিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আমাকেই নির্বাচিত করতো। এরপরও অনেক এলাকায় জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন, সাধ্যমতো প্রতিবাদ করেছেন। চট্টগ্রামের বীর জনতাকেও হৃদয় থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘চসিক নির্বাচনে বিএনপি আমাকে প্রার্থী ঘোষণার পর প্রাণপ্রিয় দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যে সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আমি অভিভূত। করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগে এবং পুনঃতফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীরা পাশে থেকে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে যে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন, তাতে আমি নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। অন্তর থেকে প্রাণপ্রিয় নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
সাংবাদিকদেরকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার ভাইয়েরা প্রতিদিন আমার এবং বিএনপির নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতি ও কর্মসূচি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করেছেন। এতে আমাদের বক্তব্য ও মতামত সহজে জনগণের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি।