মরহুম হাজী আবু বকর ছিদ্দিক এর ওয়ারিশ বৃন্দ দের নিয়ে হ্নীলা শাহ মজিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গনে সোমবার তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচ শত আত্মীয়-স্বজনের সমাগম হয়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজন মিলিত হওয়ার জন্য পুনর্মিলনীতে ছুটে আসে।
“একই সুর একই প্রাণ, ছিন্ন হয়না রক্তের টান”এই স্লোগানে সবাই একত্রিত হয়ে দিনভর আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। পুনর্মিলনীতে অতিথির মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন এইচ এম ইউনুছ বাংগালি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল মুকিচ চৌধুরী, জনাব নুরুল আলম, জনাব আমান উল্লাহ সওদাগর, জনাব নুরুল বশর,জনাব মো: আয়ুব, জনাব ইলিয়াস, জনাব সব্বির আহমদ, জনাব রেজাউল করিম এবং অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কৃষিবিদ জনাব, মোঃ এমরান কবির,জনাব ফয়েজ উদ্দিন, ডাক্তার সাকিব রেজা,ডাক্তার তাহসিন,জনাব মাইনুদ্দিন, জনাব ফায়সাল উদ্দিন খোকা, জনাব আরফাতুল মুরাদ, জনাব তারেক আজিজ রুবেল ও জনাব কফিল উদ্দিন ।
আত্মীয়স্বজনদের কুরআনে হাফেজ এবং এসএসসি ২০২২ ইং উত্তীর্ণদের সম্বর্ধনা দেয়া হয়। হাজী আবু বকর ছিদ্দিক স্মৃতি পরিষদ, হ্নীলা, টেকনাফ কমিটি গঠন,কমিটির কার্যক্রম এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। যোহর নামাযের পর মরহুম আবু বকর ছিদ্দিকের ওয়ারিশদের প্রতিষ্ঠিত বাইতুল জাব্বার জামে মসজিদ এবং শাহ মজিদিয়া জামে মসজিদের মুসল্লি দের কাছে নাস্তার প্যাকেট বিতরন শেষে মৃত আত্মীয়-স্বজনের কবর যিয়ারত করা হয় এবং তাদের মাগফিরাতের প্রার্থনা করা হয়।দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সকালের নাস্তা, আনলিমিটেড চকলেট, দুপুরে মেজবানি খাবার, বিকেলে হ্নীলার বিখ্যাত বৈঠক খানার মালাই চা খেতে খেতে আবারো প্রমাণ করল, হাজী আবুবকর ছিদ্দিকের ওয়ারিশরা একটু বেশি আবেগপ্রবণ, একটু বেশি ভোজনবিলাসী!
উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালে টেকনাফের জাদিমুরায় প্রথম পুনর্মিলনীর সূচনা হয়। ২০১৯ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবানে দিত্বীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। পরপর তিনবার সফল পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান দেখে হ্নীলা টেকনাফের জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।আত্মীয়-স্বজনের এই সম্প্রীতি, একাত্মতা সমাজ গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে অনেকে মনে করেন। তাদের দেখাদেখি এলাকার অন্যান্য গোষ্ঠী রাও পুনর্মিলনী করার চিন্তাভাবনা করছেন। এই পুনর্মিলনী ধারা অব্যাহত থাকবে সেই প্রত্যাশা সবার।