মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের পাঁচ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে আগামীকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল উদযাপন হবে। ঈদ উপলক্ষে ইতিমধ্যে ওই সব গ্রামের মুসল্লিরা নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদরা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী।
মূলত বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। শুক্রবার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বর্তমান পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।
এছাড়া হাজীগঞ্জের সাদ্র দরবার শরীফ সংলগ্ন সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় আরেকটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন সাদ্রা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ চৌধুরী।
হাজীগঞ্জের পীরের অনুসারী হিসেবে ১৯২৮ সাল থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা নির্ধারিত তারিখের এক দিন আগেই ঈদ উদযাপন করছেন।
সাদরা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ নিশ্চিত ভিত্তিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়ে থাকে।
তিনি আরও জানান, হানাফী, মালেকি, আম্বলি মাযহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৃথিবীর এক প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে সর্ব প্রান্তে তার উপর আমল করতে হয়। বৃহস্পতিবার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সকল মুসলিম উম্মাহ ঈদ উদযাপন করবে। তারই প্রেক্ষিতে সাদ্রা দরবার শরীফের সকল অনুসারীগণ একত্রে ঈদ উদযাপন করবেন।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, জাকনী, প্রতাপপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুরের মুসল্লিরা এক দিন আগে ঈদ পালন করবেন।
এছাড়া মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি পাঁচানী, সাতানী, লতুরদী, মোহাম্মদপুর, মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করেন মুসল্লিরা।