মৃত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় চট্টগ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায় ‘অল সোলস ডে’ পালন করেছে। সমাধিগুলোকে ফুলে ফুলে ভরে দিয়েছে স্বজনরা। সন্ধ্যায় সূর্যের আলো মিলিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রায় প্রতিটি সমাধিতে জ্বলে উঠে মোমবাতি। গির্জায় আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনা সভার। এছাড়া সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে স্বজনদের জন্য ‘গড’ এর কাছে প্রার্থনা করা হয় এদিন।
অল সোলস ডে, যেটিকে অল দ্য ফেইথফুল ডিপার্টেড এবং ডে অফ ডেডের স্মরণেও বলা হয়। দিনটি উপলক্ষে ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার নগরীর পাথরঘাটা গির্জার পাশের সমাধিগুলোতে স্বজনদের ভিড় লেগে যায়। নানা ধরনের ফুলের পাঁপড়িতে সাজানো হয় প্রায় প্রতিটি সমাধি। আত্মীয়দের অশ্রুসজল আকুতি ছিল সমাধিগুলোতে। সন্ধ্যায় গির্জায় আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনা সভার। মোমের আলোয় প্রিয়জনদের স্মরণ করা হয়। মোমের নরম আলোয় সমাধিগুলোতে এক অন্যরকম দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে।
পূর্বসূরিদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রতি বছরই দিবসটি পালন করা হয়। মৃত স্বজনদের স্মরণে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন গির্জা ও সমাধিতে জড়ো হন। ফুল দিয়ে ও মোম জ্বালিয়ে প্রিয়জনের সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে দুঃখ ও ব্যথার সব গ্লানি মুছে দেওয়ার জন্য জগৎপিতার কাছে করজোড়ে প্রার্থনা করেন স্বজনেরা। এটি বিদেহী ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা এবং স্মরণের দিন। রোমান ক্যাথলিক এবং অন্যান্য খ্রিস্টান সম্প্রদায় মৃত স্বজনদের শান্তি কামরায় প্রতিবছর ২ নভেম্বর দিবসটি পালন করে থাকেন।
করোনা মহামারীতে গতবছর সীমিত পরিসরে অল সোলস ডে অনুষ্ঠিত হলেও এবার বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হয় দিনটি। পাথরঘাটা গির্জার ফাদার আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার সিএসসি বলেন, ২৫ ডিসেম্বরের আগে এটি খ্রিস্ট্রান ধর্মাবলম্বীদের বেশ মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। দিবসটি যথাযথ মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। মৃত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনা করতে বহু দূর থেকেও ছুটে আসেন স্বজনেরা। এতে ভিন্ন ধরনের একটি আবহ তৈরি হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন