English

21 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

সংগীতে অসাধ্য সাধন করেছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম: নোবিপ্রবি উপাচার্য

- Advertisements -

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেছেন, নোয়াখালী ইতিহাস ঐতিহ্যের দিক থেকে অগ্রসর। এতে যে সব গুণীজন অবদান রেখেছেন তাদের অন্যতম হলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম।

একজন মানুষ দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে নোয়াখালীর আঞ্চলিক গান নিয়ে গবেষণা করছেন। অসাধ্য কে সাধন করেছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেমের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী হাশেম উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম আরও বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম
নোয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মুখের ভাষাকে সঙ্গীতে রূপান্তর করে দিয়েছেন ব্যাপক পরিচিত। লিখেছেন অন্তত ১ হাজার ৫০০ গান। নিজেই গেয়েছেন বেতার- টেলিভিশনে। তিনি ছিলেন নোয়াখালীর আঞ্চলিক গানের সম্রাট, জনক, কিংবদন্তি। শ্রদ্ধাভরে এই কিংবদন্তিকে স্মরণ করছি।

এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম মোহাম্মদ হাশেম পদক-২০২৩ তুলে দেন। এবারের হাশেম পদকে ভূষিত হন সম্মিলিত সাংস্কিৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস এবং তবলাবাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার। এছাড়াও শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ জনকল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য নিরাপদ সড়ক চাই এর মহাসচিব লিটন এরশাদ ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী নোয়াখালী জেলা সংসদকে হাশেম উৎসব ২০২৩ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মোহাম্মদ হাশেম ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুস্তফা মনওয়ার সুজনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন, সাংবাদিক আবু নাছের মঞ্জু প্রমুখ।

পরে মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান পরিচালনা করেন ওস্তাদ কামাল উদ্দিন ও রায়হান কায়সার শাওন।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর প্রধান সংগীত খ্যাত ‘আঙ্গো বাড়ি নোয়াখালী রয়াল ডিস্ট্রিক ভাই/হেনী মাইজদী চৌমুহনীর নাম কে হুনে নাই’সহ হাজারো গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মোহাম্মদ হাশেমের জন্ম ১৯৪৭ সালের ১০ জানুয়ারি। নোয়াখালী সদরের চরমটুয়া ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে তার বাড়ি। ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন