কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজার জেলায় টেকনাফ ও উখিয়ায় ১২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এক হাজার ২০০ ঘরবাড়ি। এই দ্বীপের ২৭০০ ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে প্রায় সবগুলোই আংশিক অথবা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
রবিবার (১৪ মে) বিকেলে মোখা কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে। এরপর মিয়ানমারের স্থলভাগে আঘাত হানে। মোখা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সামান্য দুর্বল হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ এটি সম্পূর্ণ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২১ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল আঘাত হচ্ছে মিয়ানমারে। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি অনেক কমেছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। ঝড়ে দ্বীপের অধিকাংশ ঘরবাড়ি, হোটেল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচুর গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে।