শফিক আহমেদ সাজীব: মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক কমিটির তদন্তে সময় গেল ১১ দিন। শুধু তথ্য সংগ্রহতেই ১১ দিন পার হয়েছে বলে জানা গেছে। দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও যাচাই-বাছাই এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে সঠিক চিত্র এবং ঘটনা তুলে ধরতেই একটু সময় বেশি লাগছে বলে দাবি করছেন রেল কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটির দায়িত্বশীলরা বলছেন, রেলওয়ের পাঁচ কর্মচারীর সাক্ষাৎকার নেওয়া, ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন, নিহত-আহতদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, গেটম্যানের সঙ্গে কথা বলাসহ নানা বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে।
কয়েকদিনের মধ্যেই সব তথ্য হাতে আসার পর, যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হতে পারে। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরেজমিন তদন্তসহ তদন্ত কমিটির অনেক কাজে অগ্রগতি হয়েছে। আবারও সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। তারা বলছেন, গত ৬ আগস্ট রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ পরীক্ষার বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন পৃথক তদন্ত কমিটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। ফলে কয়েকদিন তদন্ত কাজে সময় দেওয়া যায়নি। আজ থেকে আবার তদন্ত কমিটির কাজ চলবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই মিরসরাইয়ে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।
পরে গত ৫ ও ৬ আগস্ট আরও দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পৃথক কমিটির মধ্যে দায়িত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) মো. আনছার আলী। অপর উচ্চপর্যায়ের কমিটির আহ্বায়ক পূর্বাঞ্চলের এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ট্র্যাক) মো. আরমান হোসেন।