চট্টগ্রামে আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বিশ্বমানের হার্টের যাবতীয় চিকিৎসা সেবা মিলবে এক ছাতার নিচে। এ লক্ষ্যে বিশেষায়িত একটি ৫০ শয্যার কার্ডিয়াক সেন্টার চালু করছে বেসরকারি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। এই হাসপাতালের নবনির্মিত ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় অত্যাধুনিক পূর্ণাঙ্গ কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিটটি চালু করা হবে। ইতোমধ্যে অনেকটাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বশেষ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামসহ আন্তর্জাতিক মানের কার্ডিয়াক চিকিৎসা সেবা যুক্ত হবে এখানে।
এর আগে গত ২৩ মে ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ইন্টারভেনশন কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডা. আবু তারেক ইকবালের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ টিম হাসপাতালের প্রস্তাবিত কার্ডিয়াক ইউনিট ও ক্যাথ-ল্যাব পরিদর্শন করেন এবং পরবর্তীতে হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের সাথে বৈঠক করেন। হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে কার্ডিয়াক ইউনিট ও ক্যাথ-ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যাদি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়। কার্ডিয়াক ইউনিট ও ক্যাথ-ল্যাব বাস্তবায়নের জন্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনকে চেয়ারম্যান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আজিজ নাজিম উদ্দিনকে কো-চেয়ারম্যান, কার্যনির্বাহী কমিটির ট্রেজারার মো. রেজাউল করিম আজাদকে মেম্বার সেক্রেটারী ও হাসপাতালের শিশু আইসিইউ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাহিম হাসান রেজাকে সমন্বয়কারী সহ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
জানা যায়, জনগণের অর্থে ও স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগে পরিচালিত মা ও শিশু হাসপাতালের নবনির্মিত ১৪ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় অত্যাধুনিক পূর্ণাঙ্গ কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিটটি চালু করা হবে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ আমদানির চুক্তিও সম্পন্ন করা হয়েছে।
গত ২৩ মে খ্যাতিমান কার্ডিওলজিস্ট ডা. আবু তারেক ইকবালের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ টিম ইউনিটের ফ্লোরটি পরিদর্শন করেছেন। আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সর্বশেষ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামসহ আন্তর্জাতিক মানের কার্ডিয়াক চিকিৎসা সেবা শুরু করা হবে। এখানে থাকবে এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি, রিং, বাইপাস, কার্ডিয়াক সার্জারিসহ হৃদরোগের যাবতীয় সব চিকিৎসা।
হাসপাতালের ট্রেজারার মো. রেজাউল করিম আজাদ বলেন, সর্বশেষ প্রযুক্তির আধুনিক চিকিৎসা উপকরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ৫০ শয্যার কার্ডিয়াক সেন্টারটি করছি। এটি হার্টের পূণার্ঙ্গ ওয়ান স্টফ সার্ভিস সেন্টার। এখানে হার্টের যাবতীয় চিকিৎসা এক ছাতার নিচে মিলবে। আমরা আশা করছি আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে এই ক্যাথ ল্যাবটি বসাতে পারবো। এটি হলে চট্টগ্রামের মানুষকে আর চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকা বা অন্য কোথাও গিয়ে চিকিৎসা করতে হবে না। এই সেন্টারটি চট্টগ্রামের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর সম্পূর্ণ অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে দুটি ক্যাথ ল্যাব বসানোর মত পজিশন আছে। আপাতত একটি বসানো হবে। অন্যটি হাসপাতালের আয় দিয়ে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বসানো সম্ভব হবে। এছাড়া দেশের যেকোন হাসপাতালের তুলনায় কম খরচে আমাদের এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে মানুষ।