ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের সওদাগর গ্রামের বরযাত্রী ও বর আসার আগেই বাড়িতে গিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হালিমা খাতুন। আর এতে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পান নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কনের পিতাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সওদাগর গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার দুবাই প্রবাসী এক যুবকের বিয়ের দিন ঠিক করা হয় শুক্রবার দুপুরে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বর ও বরযাত্রী আসার আগেই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও হালিমা খাতুন।
কাগজপত্র দেখে তিনি নিশ্চিত হন যে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ের বয়স হয়নি। এ অবস্থায় কনের বাবাকে জরিমানা করার পাশাপাশি মুচলেকা আদায় করা হয়। নির্ধারিত বয়স না হওয়া পর্যন্ত ওই মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হবে না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।