বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র আলোকচিত্র সাংবাদিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ানের সাবেক নির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোশিয়েসনের সভাপতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য দিদারুল আলম (৫২) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি মা, বাবা, স্ত্রী, এক কন্যা, ভাইবোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। ফটোসাংবাদিক দিদারুল আলমের প্রথম নামাজে জানাজা গতকাল বাদে মাগরিব মাগরিব চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এবং দ্বিতীয় জানাজা রাত ১১টায় গ্রামের বাড়ি হাটহাজারীর মেখলে অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তাঁর এমন অকাল মৃত্যুতে চট্টগ্রামের পুরো মিডিয়াপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র ফটো জার্নালিস্ট হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি কর্মজীবনে দৈনিক যুগান্তর, ইংরেজি পত্রিকা দৈনিক অভজার্বারসহ বিভিন্ন দৈনিকে কাজ করেছিলেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিন চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘গত বুধবার রাত ১১টার দিকে তিনি জ্ঞান হারান। এরপর চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা হাসপাতালের আইসিইউতে দেখতে যাই। এরপর অফিসে আসার পরই ভাবীর কান্নাজড়িত ফোন। ফোনে কান্না ছাড়া আর কোনো কথা বলতে পারেননি। এর ২৮ দিন আগে তিনি করোনা আক্রান্ত হলেও করোনা থেকে সেরে উঠেছিলেন। আইসিউতে হাইফ্লো দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি তাঁর।’
সাংবাদিক দিদারের এ অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিন চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামশুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন (টিসিজেএ) চট্টগ্রাম সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাশ ও সাবেক সভাপতি শফিক আহমেদ সাজীব, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোশিয়েসনের নেতা রাশেদ মাহমুদ, মাসুম হাবিব, রাজেশ চক্রবর্তী এবং শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।