বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ থেকে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে গাড়ি বহরে ইট পাটকেল, ডিম নিক্ষেপ ও হামলা করেছে দুবৃর্ত্তরা।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ফেনীর জেলার দাগনভূঞা বাজারে কাদের মির্জার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনার পর সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে তার গাড়ি বহরে হামলার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে তাৎক্ষণিক ফেইসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন,কাদের ইঙ্গিতে আজকে নিজাম হাজারী, একরাম চৌধুরী এত দাপট দেখায়, দাপট দেখিয়ে চলে। তারা আমাদের ওপর হামলা করার মত ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ দেশে কি সরকার নেই, এ দেশে কি প্রশাসন নেই।আজকে আমাদের এলাকার কি কোন অভিভাবক নেই। কেউ কি প্রতিবাদ করার নেই। আমরা যাকে মন্ত্রী বানিয়েছি। এই এলাকার জনগণ। সেই মন্ত্রীর কাজ কি। সেই মন্ত্রী অপশক্তির কাছে আজকে মাথানত করেছে।
এ সময় তিনি , শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানান, এই ঘটনা গুলোর সাথে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। না হলে আপনার সকল অর্জন এরা ধ্বংস করবে।
এদেরকে কারা আজকে শেল্টার দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিন। তাদের কে চিহিৃত করেন। সে যত বড় নেতা হোক, যত বড় মন্ত্রী হোক তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেন। কাদের মির্জা বলেন, যারা ফেনীতে একরামকে হত্যা করেছে ঠিক একই কায়দায় আমাকে হত্যা করার জন্য একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা, নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ির গতিরোধ করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি একটি ট্রাক থাকার কারনে আমার গাড়িটি দ্রুত চলে আসছে, আমার গাড়িতে কিছু করতে পারে নায়। আমার পরবর্তীতে ১০-১২টি গাড়ি ছিলো সেগুলোর উপর ইট-পাটকেল, ডিম মারা হয়েছে। সেলিম নামে আমাদের একজন নেতা আহত হয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “আমি শপথ থেকে এলাকায় ফিরে গিয়ে একমাস আর মানবো না অনতিবিলম্বে এদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবীতে, নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবীতে, নোয়াখালী-ফেনীর ভোট চুরির বিরুদ্ধে, এখানে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।”