এক বর্ষণমূখর পরিবেশে কক্সবাজারের বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনে ঢল নামে লাখো মানুষের। এ সময় পূজারি, ভক্ত, দর্শনার্থী, পর্যটকসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় সৈকত।
সৈকতে পূজারিরা মেতে উঠে নেচে গেয়ে এবং আনন্দ উল্লাসে। সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিসর্জন মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে প্রতিমা সাগরে নিরঞ্জন করেন ভক্ত-পূজারিরা।
কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে ট্রাকে প্রতিমা নিয়ে শুক্রবার দুপুর থেকেই সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে প্রতিমা নিয়ে সমবেত হতে থাকে পুজারিরা। এ সময় ঢাক-ঢোল, তবলা, বাঁশিসহ নানা বাদ্য যন্ত্র নিয়ে এক উৎসব মূখর পরিবেশে সৈকতে ভিড় জমায় তারা। সপ্তাহের ছুটির দিন হওয়ায় এবারের বিসর্জন অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক পর্যটকও যোগ দেন। তাদের নিকটও উপভোগ্য ছিল এ অনুষ্টানটি।
সৈকতের বৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেছেন, প্রতি বছরই কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে দেশের বৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন উৎসব অনুষ্টিত হয়ে আসছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ হবে শান্তি সম্প্রীতির দেশ। কক্সবাজার সৈকতের এই উৎসব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মহামিলন উৎসবের একটি উৎকৃষ্ঠ প্রমাণ।
প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্টিত হয় বিজয়া দশমীর এক অনুষ্টান। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশের সভাপতিত্বে বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শ্রাবস্তী রায়, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম প্রমুখ।