পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে সঙ্গে নিয়ে নিজের জন্মদিন পালন করে প্রত্যাহার হলেন কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসমান গণি। আদালতের পরোয়ানা তামিল আসামিকে পুলিশ যেখানে হন্য হয়ে খুঁজে বেড়ায়। সেখানে খোদ নিজের জন্মদিনে সেই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত ২ মার্চ ওসির জন্মদিনে এমন কাণ্ডের পর ১৫ দিনের মাথায় থানার ওসির পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে তাকে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে তাকে প্রত্যাহার করে কক্সাবাজার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিধিভঙ্গ করায় ওসি ওসমান গণিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে পুলিশের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হয়েছে। সে কারণে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা।’
জানা গেছে, ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে অস্ত্রধারী একদল তরুণ চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন এবং তাঁর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনায় তারেকুলের ছোট ভাই তানজীমুল ইসলাম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরহান মাহমুদ ওরফে রুবেলকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। কয়েক মাস আগে আদালতে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
চার মাস আগে চকরিয়ার থানার ওসি হিসেবে যোগ দেন ওসমান গণি। গত ২ মার্চ তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামি রুবেল তাকে ফুলেল সংবর্ধনা ও মিষ্টিমুখ শেষে কেক কাটেন।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।