কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার ছয়দিন পর শ্বশুরবাড়ির উঠানের মাটি খুঁড়ে আফরোজা নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামে স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পির বাড়ির আঙ্গিনায় পুঁতে রাখা লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আফরোজা মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পূঁইছড়া গ্রামের মো. ইসহাকের মেয়ে। এক বছর আগে উত্তর নলবিলা গ্রামের হাসান বশিরের ছেলে রাকিব হাসান বাপ্পির সঙ্গে আফরোজার বিয়ে হয়। বাপ্পি বদরখালী কলেজের খণ্ডকালীন প্রভাষক।
বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। এই পারিবারিক কলহের জের ধরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। কিছুদিন আগে মামলায় আপোষের মাধ্যমে বাপ্পি আফরোজাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে গত সোমবার বাপ্পির মা রোকেয়া হাসান তার পুত্রবধূ আফরোজা নিখোঁজ হয়েছে বলে তার বাবার বাড়িতে খবর দেয়।
নিখোঁজের এই খবরটি আফরোজার পরিবার মহেশখালী থানায় অবগত করে এবং পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। অন্যদিকে আফরোজার স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পিও পালিয়ে যান। বাপ্পি কেন পালালেন এ নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি পুরো এলাকায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
এদিকে গোপন সূত্রের খবরে এবং বাপ্পির তালাক দেওয়া প্রথম স্ত্রীর মেয়ের তথ্যমতে পুলিশ গতকাল শনিবার বিকেল থেকেই মহেশখালী উপজেলার উত্তর নলবিলা এলাকায় অভিযান চালায়। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ গৃহবধূ আফরোজার শ্বশুরবাড়ির উঠানের এক কোনায় মাটি খুঁড়ে আফরোজার লাশ উদ্ধার করে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই বলেন, ‘গতকাল শনিবার রাতে নিখোঁজ আফরোজার মরদেহ তার স্বামী বাপ্পির বাড়ির উঠানে গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়। আফরোজাকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আজ রোববার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর আফরোজার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সকলেই পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন