সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে ৩০ রোজা পূর্ণ করে ইদুল ফিতর উদযাপন করেছে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামের মুসল্লিরা।
সোমবার সকাল থেকেই জেলার হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উপজেলার গ্রামগুলোতে ঈদের আমেজ শুরু হয়। মুসল্লিরা আসতে শুরু করে মসজিদ ও ঈদগাঁ মাঠে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে প্রায় ২০টিরও অধিক মসজিদ ও ঈদগাঁ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ৯টায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের টোরা মুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইমামতি করেন মাওলানা এ.এস.এম সালামত উল্যাহ। নামাজের পূর্বে তিনি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনা করেন।
একই সময়ে হাজীগঞ্জের সাদ্রা হামিদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠত হয়। সেখানে ইমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা আরিফ চৌধুরী। মূলত ৯৪ বছর পূর্বে এই মাদ্রাসা এলাকা থেকেই আগাম রোজা ও ঈদের প্রচলন শুরু করেন সাদ্রা দরবার শরিফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.)। তাঁর অনুসারীরা ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন অব্যাহত রেখেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, তাদের পাশে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার রবিবার (১ মে) ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে সেখানে মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম ঘটেনি।
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বড় পীরজাদা ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি এই তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায়। আর সেই সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছে। তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব।
তার দাবি, শনিবার আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখে গেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে প্রাপ্ত হয়ে আজ আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটস্থ খানকা, আসকোনা এবং পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরিফে ঈদের জামাত হয়েছে।
একদিন আগে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করা গ্রামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মণিহার, বড়কূল, অলিপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, বদরপুর, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।