English

26 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
- Advertisement -

চট্টগ্রামে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণে ভূমিকা রাখা অনন্য হৃদয়ের মানুষ আজাদের গল্প

- Advertisements -

চট্টগ্রামে বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসার স্বল্পতাই এই অবস্থার জন্য বড় দায়ী। চট্টগ্রামে ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটা অপ্রতুল। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা চেম্বার করলেও চিকিৎসার সুযোগ অকেখানি কমই বলা যায়। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশও প্রয়োজনের তুলনায় নেই বললেই চলে।

তবে এতকিছুর মধ্যেও আশার কথা হচ্ছে, ক্যান্সারের চিকিৎসায় চট্টগ্রামে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসাপাতালের পাশে এই চট্টগ্রাম ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটি গড়ে তোলা হবে। এই হাসপাতাল নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় একশত কোটি টাকা। তবে প্রাথমিকভাবে ভবন তৈরিসহ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে অন্তত ৩৫ কোটি টাকার প্রয়োজন। এরমধ্যে এই ইনস্টিটিউটের জন্য বেশকিছু অনুদান সহযোগিতা পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ভূমি মন্ত্রীর উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী বিশেষায়িত এই হাসপাতালের জন্য আট কাঠা ভূমি প্রদান করেছেন।

অনুমোদন মিলেছে পারমাণবিক শক্তি কমিশন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে। হাসপাতালটি চালু হলে ক্যান্সার গবেষণার দুয়ারও উন্মেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের মানুষের ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন এই হাসপাতাল চালু হলে তা এই অঞ্চলের গরিব ও অসহায় রোগীদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে, এটা আস্থার সাথে বলা যায়।

চিকিৎসা নয়, সেবাই মূলমন্ত্র ধারণ করে এই উদ্যোগের পেছনে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ। ছোট্ট করে একটু যদি বলি তার সম্পর্কে; রেজাউল করিম আজাদ ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ সালে জন্ম রাউজানের নদিমপুর গ্রামে। তার পিতা ইউনুচ মিয়া একজন সমাজসেবক ছিলেন। পিতার মতো রেজাউল করিম আজাদের সমাজসেবা ও মানুষের সেবা করার ব্রতকে আদর্শ করে নিয়েছেন। চট্টগ্রামের বৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্রের নানামুখি কর্মকা-ের সাথে তিনি জড়িত রয়েছেন।

কিছু কিছু মানুষ আছেন যাদের শুধু ধন্যবাদ দিলে ছোট করা হয়। কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা পর্দার আড়ালে থেকে অনেক নাটকের অনেক বড়ো দৃশ্যেগুলোর দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মতো একজন মানুষ প্রিয় আজাদ ভাই। আমার ৪৪ বৎসরের জীবনে প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে অনেক মানুষের সাথে উঠাবসা করেছি, নানা পর্যায়ের মানুষের সাথে মিশেছি, অনেক ভালো মানুষদের সাথে দেখা হয়েছে আবার অনেককেই দেখেছি নির্ধিদায় নিজের রঙ পাল্টে নিতে। তাই মানুষ চিনতে আমি ভুল করিনা।

আমাদের সবারই কোনও না কোনো কমতি আছে, কিন্তু সত্যিকারের ভালো মানুষ হতে হলে অভিনয় করলে চলেনা, যারা প্রয়োজনে ভালো মানুষ সেজে থাকেন, সময়ের বিবর্তনে হঠাৎ করে তাদের ভালো মানুষির রঙটা পাল্টে যায়।

আজাদ ভাই অনেক বৎসর ধরে দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার খাতুনগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। উনার অসম্ভভ ভালো একজন স্ত্রী আছেন, আছে ছেলে, মেয়ে এবং নিজের একটা সাজানো গোছানো সুন্দর বাড়ি এবং দামি গাড়ী। এতো কিছুর পরেও উনার মাঝে নাই কোনো আভিজাত্যের ভাবসাব কিংবা নাই কোনো গৌরব। উনি গরিব ও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করতে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন যৌক্তিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এবং অন্যদের আলোচনা শুনতে।

আমি বয়সে উনার অনেক ছোট, উনি চাইলেই আমাকে তুমি তুমি বলে সম্মোধন করতে পারতেন কিন্তু উনার সাথে অনেক বছরের পরিচয়, দীর্ঘদিনের সম্পর্কের এসময়ে কোন দিন একটি বারের জন্যও উনি আমাকে আপনি ছাড়া কথা বলেননি। একজন মানুষের মাঝে কতটুকু পরিমান পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষা থাকলে বয়সে অনেক ছোট একজন অচেনা মানুষের সাথে এমন ভালো ব্যবহার করতে পারা যায় তা আজাদ ভাইয়ের সাথে পরিচয় না হলে হয়তোবা জানা হতোনা।

বয়সের পার্থক্য সব সময় দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারেনা আর তাইতো আজাদ ভাইয়ের সাথে যৌক্তিক আলোচনায় উনার সাথে নিজের কেমন একটা মিল খুঁজে পাই। উনার ভালো মানুষত্বটাকে ধারণ করবার চেষ্টা করি। অসম্ভব ভালো মনের আজাদ ভাই যেন জীবনে আরো সুখী থাকেন, স্বার্থপর এবং মেকি এই পৃথিবীতে আজাদ ভাইয়ের মতো আরো হাজার হাজার ভাইদের জন্ম হয় যেন, পৃথিবীর কোনায় কোনায় লাল সবুজের পতাকাধারী আজাদ ভাইদের ভীষণ প্রয়োজন।

লেখক : শফিক আহমেদ সাজীব, সাধারণ সম্পাদক, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন