চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শীতলপুর বগুলাবাজার এলাকায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি রাইস মিলসহ ৬টি দোকান ও ৬০টি ভাড়া ঘর সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সেখানে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর বগুলাবাজার এলাকায় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. জালাল উদ্দিন বাজার সংলগ্ন ভাড়া ঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে তা মুহূর্তেই আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে একে একে ৬০টি ভাড়া ঘর ও একই মালিকের কয়েকটি দোকানসহ ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তবে এর মধ্যে রাত ৮টার পর পর সেখানে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ হয়। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রাইস মিলের মালিক স্থানীয় সংবাদকর্মী কামরুল ইসলাম দুলু বলেন, রাত ৮টার দিকে স্থানীয় সাবেক মেম্বার জালাল উদ্দিনের ভাড়া ঘর থেকে আগুন লেগে তা বাজারেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে জালাল উদ্দিনের মালিকানাধীন ৬০টির মতো ভাড়া ঘর, আমাদের একটি বড় রাইস মিল ও আরো ৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুলু বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরাই। পুরো রাইস মিলটি শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আগুন নেভাতে আসা কুমিরা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার কথা জানান স্থানীয় সোনাইছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. মুনীর আহমেদ। তিনি বলেন, আমি রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই এলাকা অতিক্রম করি। তখনো আগুন লাগেনি। তার অল্প কিছুক্ষণ পর পরই খবর আসে অগ্নিকাণ্ডের। এতে ৫০-৬০টি ভাড়া ঘর, ৬টির মতো দোকান পুড়ে বিপুল অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা সম্ভব হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডিউটি ম্যান আনোয়ারুল জানান, বগুলা বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ, লিডার আতিকুর রহমানসহ একটি টিম সেখানে যান। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে স্টেশনে ফিরে আসে। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান।