চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর শাখা ঐতিহ্যবাহী ইছানগর খাল অবৈধ দখল ও ভরাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন পাঁচ সংগঠন। সংগঠনগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফডারেশন, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ও ইছানগর বাংলাবাজার সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি। মামব বন্ধনে সহস্রাধিক স্থানীয় জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৬ অক্টোবর শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় উপজেলার ইছানগর এলাকায় নদী অবৈধ দখল ও ভরাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং সাম্পান মাঝিরা কর্মবিরতি পালন করেন।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস.এম পেয়ার আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশবীদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিছ, সাংবাদিক আলীউর রহমান।
মানববন্ধনে ব্রীজঘাট সম্পান সমিতির সভাপতি জাফর আহমেদ, বাংলাবাজার সম্পান মালিক কল্যান সমিতির সভাপতি লোকমান দয়াল, মালবাহী বড় সম্পান সমিতির সভাপতি এম. সাইফুল রহমান, মির্জা হাজী বশর, জাকির আহমেদ, আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ শফিসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, কর্ণফুলী নদীর শাখা ঐতিহ্যবাহী ইছানগর খাল আর ও বিএস সিটে চিহ্নিত জোয়ারভাটার খাল। যা বিএফডিসি ও কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্স অবৈধ দখল ও ভরাট করে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করছে। যার কারণে খাল দিয়ে এখন আর মাঝিরা নৌকা চালাতে পারছে না। দূর্যোগ ঘূর্ণঝড়ে মাঝিরা খালটিকে পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করে। বৃহত্তর ইছানগর এলাকার পানি এই খাল দিয়ে প্রবাহিত হতো। এছাড়া তাদের ব্যবহারের বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলে পানি দূষণ করছে বলেও জানান বক্তারা। দখল ও ভরাটকৃত খাল অবমুক্ত করা না হলে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে বক্তারা জানান। মানববন্ধনে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় স্থানীয় সাংসদ ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।