চাঁদপুরে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য কাঙ্খিত আইসিইউ বরাদ্দ মিলেছে। গতকাল মধ্যরাতে রাজধানী ঢাকা থেকে এসব সামগ্রী চাঁদপুরে পৌঁছে। এর আগে গত একবছর ধরে অনেক চেষ্টা চালানো হয়। তিন শয্যাবিশিষ্ট এই আইসিইউ স্থাপন করা হবে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিব উল করিম জানান, আইসিইউর জন্য গ্যাস সঞ্চালন সংযোগ, শয্যাগুলো স্থাপন এবং প্রয়োজনীয় জনবল তৈরি করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা রোগীদের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ এই চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করা হবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, আইসিইউর শয্যার দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিল। তা এখন থেকে দুর হতে চলেছে। এতে চাঁদপুরবাসী বেশ উপকৃত হবে। কমে যাবে মৃত্যুর হারও। এর আগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম রাজধানী ঢাকা থেকে আইসিইউ স্থাপনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এবং করোনার অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গতকাল মধ্যরাতে এখানে পৌঁছান।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরে এই পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭১২ জন এবং এতে মারা গেছেন ১০৩ জন। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে অর্থাৎ আইসিইউ না থাকায় অনেকেই মারা গেছেন।
এদিকে, বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে চাঁদপুরে সর্বাত্মক লকডাউন পালিত হচ্ছে। যানবাহন ও জনসমাগর ঠেকাতে জেলা শহরের সবগুলো প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট।
সকাল ১০টা থেকে মাঠে অবস্থান নেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ। এসময় তারা শহরের পালবাজার, বিপনিবিতান, ওয়ারলেসবাজার ও বাবুরহাট পরিদর্শন করেন। এসব ব্যস্ত বাজার ইতিমধ্যে খোলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে সীমিতবাবে কাঁচাবাজার খোলা থাকলেও ওষুধ ছাড়া অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, চাঁদপুরে সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, শুরুর দিনই লকডাউন পালনে সাধারণ মানুষকে বাধ্য করা হয়েছে। ফলে শুরতেই সফল তারা।