শফিক আহমেদ সাজীব: ঘরের বারান্দায় পড়ে আছে আয়াস ও ওয়াজিহার নিথর দেহ। তাদের ওপর সাদা কাফনের কাপড়। পাশেই নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছেন বাবা-মা ও স্বজনরা। আদরের সন্তানদের হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন দুই শিশুর বাবা-মা। কথা ছিল নতুন জামা পরে ঈদের আনন্দ করবে শিশু দুটি। কিন্তু এর আগেই চলে গেল তারা না ফেরার দেশে।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বরলিয়া ইউনিয়নের রাশেদ মনোয়ার চেয়ারম্যান বাড়ির পুকুরে ডুবে ওয়াজিহা আকতার (৫) ও মুহাম্মদ আয়াস (৪) নামের দুই শিশু মারা যায়।
১৯ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওয়াজিহা ওই গ্রামের মিজান উদ্দিনের মেয়ে এবং আয়াস একই বাড়ির ইঞ্জিনিয়ার বাহার উদ্দিন জলিলের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাইবোন।
জানা গেছে, উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের প্রবাসী বাহার ও টি কে গ্রুপে চাকরিজীবী মিজান উদ্দিন গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের দুই শিশু খেলতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ডুবে যায়।
প্রতিবেশী পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার জানিয়েছেন, পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আপন চাচাতো ভাই-বোনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ওয়াজিহার মা কাওসার আক্তার ও আয়াসের মা কানিস ফাতেমা ঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় দুই শিশু বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিল। পরে স্বজনদের অগোচরে তারা বাড়ির সামনে পুকুরে পড়ে যায়।
দীর্ঘক্ষণ শিশুদের না দেখে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাড়ির পাশে পুকুরে দুই শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসক হাসানুর রশিদ তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।