English

21 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

১৬ বছর পর ফেনী ট্রমা সেন্টারে জনবল নিয়োগ, রোগীদের স্বস্তি

- Advertisements -

জনবল নিয়োগের পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে মহিপাল সংলগ্ন ফেনীর ট্রমা সেন্টার। এ হাসপাতালে পাঁচজন চিকিৎসক, পাঁচ সেবিকা ও একজন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে গত কয়েকদিন রোগীরা এ হাসপাতালে ভিড় করছেন।

এদিকে ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের চাপ কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য দুই কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ শয্যার হাসপাতালটি নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ। পরে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আউটডোর ও ইনডোর চালু করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু সে ঘোষণা দীর্ঘদিন বাস্তবতা পায়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিনতলা ভবনের নিচতলায় করোনার টিকা কার্যক্রম চলছে। দ্বিতীয় তলায় চলছে আউটডোর সেবা কার্যক্রম। সেখানে খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সঙ্গে দিচ্ছেন বরাদ্দকৃত সরকারি ওষুধ। বহির্বিভাগ সেবা পেয়ে খুশি রোগীরা।

আবু বক্কর নামের এক রোগীর স্বজন জানান, ট্রমা সেন্টারে পর্যাপ্ত সেবা পেলে সদর হাসপাতালে যেতে হবে না।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, ২০২২ সালের শুরুতে স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন করে জনবল নিয়োগ দেয়। আগে একজন মেডিকেল অফিসার দিয়ে কার্যক্রম চললেও বর্তমানে ট্রমা সেন্টারটিতে একজন অর্থোপেডিক কনসালটেন্ট, একজন অ্যানেস্থেসিয়া কনসালটেন্ট, একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, দুজন মেডিকেল অফিসার ও একজন ফার্মাসিস্ট কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি আটজনের স্থলে সেবিকা রয়েছেন পাঁচজন।

এছাড়া মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাব), মেডিকেল টেকনোলজি (রেডিওগ্রাফার), অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, আয়া, গাড়িচালক, সুইপার, কুক, ওয়ার্ড বয় ও নিরাপত্তা প্রহরীর পদে কোনো নিয়োগ নেই।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম সাইফুল আলম জানান, এখানে সাধারণত ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীরাই আসে। হাড়ভাঙা ও দুর্ঘটনায় আক্রান্ত আশঙ্কাজনক রোগী এলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, বহির্বিভাগের সাধারণ রোগীদের জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে আবাসনের কোনো ব্যবস্থা নেই।

ফেনী সিভিল সার্জন ডা. রফিক উস সালেহিন বলেন, হাসপাতালটি জনগুরুত্বপূর্ণ। তাই এটি পুরোদমে সচল হওয়া প্রয়োজন। হাসপাতালের ১৯ পদের বিপরীতে ১১ জন নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ ধারা বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।

এ বিষয়ে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, সদর হাসপাতালে ফেনী ছাড়া আশপাশের জেলা-উপজেলার রোগীর চাপ থাকে। তাই বহির্বিভাগসহ পর্যায়ক্রমে আন্তঃবিভাগ চালুর বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরোদমে চালুর চেষ্টা চালানো হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন