স্কুল প্রধান শিক্ষক, পুলিশ সদস্য, গ্রাম পুলিশ, প্রবাসী, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
বুধবার দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। কার্যালয়টির সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম-২ এর উপ-পরিচালক আতিকুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন : দাঁতমারা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জানে আলম, তৎকালীন ট্যাগ অফিসার প্রণবেশ মহাজন, ফটিকছড়ির কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আজিজুল হক, একই ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সুজিত কুমার নাথ ও ক্যাশিয়ার আবুল কাশেম।
এর আগে ২০২০ সালে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন তদন্ত করে ৪১ জন শ্রমিকের অর্থ আত্মসাতের দালিলিক প্রমাণ পাওয়ায় চেয়ারম্যানসহ বাকিদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে দুদক কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেন। পরবর্তীতে চলতি বছরে এসে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর নির্দেশন দেন।
দুদকের এজহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের ১ম ও ২য় পর্যায়ের মোট ৮০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের দৈনিক ২০০ টাকা মজুরি হারে ৪১ জন শ্রমিকের ৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকল্পে ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের তালিকাভুক্ত শ্রমিকের মধ্যে ৪১ জন উপকারভোগী শ্রমিকের জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়।
তারা প্রত্যেকেই জানান- তারা কেউই শ্রমিক নয় এবং সকলেই স্বাবলম্বী। তারা কখনো কৃষি ব্যাংকে যান নাই কিংবা হিসাব খোলেননি এবং টাকাও উত্তোলন করেননি। এছাড়া কর্মসৃজন শ্রমিকদের টাকা ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা করার কথা থাকলেও তা ব্যাংক থেকে তুলে চেয়ারম্যান নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করেন।