লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এতে ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মহান আল্লাহর কাছে ভাঙন থেকে মুক্তি চেয়েছেন সবাই। পূর্ব-পুরুষের ভিটে ও কবর রক্ষায় আল্লাহর রহমত কামনা করেন।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকায় মোনাজাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। কমলনগর রামগতি বাঁচাও মঞ্চের উদোগে এ আয়োজন করা হয়।
এ সময় দোয়া পরিচালনা করেন কমলনগর উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ক্বারী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন।
এতে উপস্থিত ছিলেন কমলনগর উপজেলা পরিষদের কমলনগর রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ান, সংগঠনের উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন শাকিল প্রমুখ।
সূত্র জানায়, বালু সংকট ও বরাদ্দের টাকা ছাড় না পাওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ বন্ধ করে রেখেছে। টাকা ছাড় পেলে ও বালু সংকট কাটলেই তারা কাজ শুরু করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৬টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২১ সালে একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩১ কিলোমিটার নদীতীর রক্ষা বাঁধের জন্য প্রায় ৩১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেন। সেই লক্ষ্যে কমলনগরের সাহেবেরহাট ইউনিয়নের মেঘনা এলাকায় গত ৯ জানুয়ারি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক কাজের উদ্বোধন করেন।
আইনজীবী সাত্তার পালোয়ান বলেন, জোয়ারে আমার মায়ের কবরে পানি উঠে যায়। এটি দেখলে আমার কলিজা ফেটে যায়। আমার মায়ের পাশে আমাকে কবর দেওয়ার জন্য বলে রেখেছি। কিন্তু নদীতীর রক্ষা বাঁধ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ভাঙনে সব বিলীন হয়ে যাবে। এজন্য নদীভাঙন থেকে রক্ষা পেতে আমরা মহান আল্লাহর কাছে হাত তুলেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নদীভাঙন রোধে মেগা প্রকল্প দিয়েছেন। দ্রুত সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, বালু সংকট ও বরাদ্দের টাকা ছাড় না হওয়ায় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। বরাদ্দটি ‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে এখন বরাদ্দটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আনা হয়েছে। এখন টাকা পাওয়া যাবে। খুব শিগগিরই ফের কাজ শুরু হবে।