নির্বাচনকে ঘিরে চাঁদপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলার প্রধান আসামি সোবহান সরকার সুভাকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে সোবহান সরকার সুভাকে আটক করে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসানের সমর্থক ছাত্রলীগ নেতাদের উপর গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হামলার ঘটনায় গত ১৭ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে গত ১৪ ডিসেম্বর দশানী ছালমা বেগম রাতের আঁধারে বসতঘরে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা চালায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক সোবহান সরকার সুভা। তাকে প্রধান আসামি করে ছালমা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া নির্বাচন কেন্দ্রিক আরো একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনার মূল হোতা সোবহান সরকার সুভা।
তার এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে সোবহান সরকার সুভাকে আটক করে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট। তবে জানা গেছে, সোবহান সরকার সুভাকে আটকের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ। এই বিষয়টি নিয়ে মতলব জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। তার বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা থাকা সত্ত্বেও আটকে কেন ছেড়ে দেওয়ায় আতঙ্কিত মতলববাসী।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট তাকে আটক করার পর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সোবহান সরকার সুভাকে খানা পুলিশ রিসিভ করেনি। এ নিয়ে এন্টি টেররিজম ইউনিট ও থানা পুলিশের মধ্যে বেশ কয়েক ঘণ্টা কথা বার্তা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুভাকে আটক দেখাবে না থানা পুলিশ। যার কারণে রাতভর তাকে আটকে রাখার পর মঙ্গলবার ভোরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদ স্বপন বলেন, এন্টি টেররিজম সদস্যরা একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এসেছিল। আসামির বিষয়ে আমরা তাদের অবগত করেছি, তবে আসামি সুভাকে নিয়ে তারা থানায় আসেনি, এ বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।