English

25 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

চট্টগ্রাম নগরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ২৫, শাহাদাতসহ আটক ১৫

- Advertisements -

চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে ৬ পুলিশসহ ২৫ জনের বেশি আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দলীয় কার্যালয় এলাকা থেকে বিকেলেই মহিলাদলের চার সদস্যসহ ১৪ জনকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে মহিলাদলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, প্রচার সম্পাদক দেওয়ান লিটা ও আঁখি সুলতানা রয়েছেন। এরপর সন্ধ্যায় ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ডা. শাহাদাতকে আটক করা হয়েছে বিএনপি নেত্রী লুসি খানের করা চাঁদাবাজি ও অপরহরণ মামলায়।

২৯ মার্চ ২০২১ সোমবার বিকেল ৩টায় কাজীর দেউড়ি নুর আহম্মদ সড়ক এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। আতঙ্কে সাধারণ পথচারীরা এদিক সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, বিএনপির কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত ছিল। তারা মিছিল নিয়ে এসে পুলিশ দেখে হঠাৎ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় ৫-৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে চার নারীসহ ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসছিল। পুলিশ বিনা উস্কানিতে নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বেশ ক’জন নেতাকর্মী আহত হয়।

নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী বলেন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে যুবদল মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি পুলিশের গুলির মুখে পড়ে। এতে যুবদলের ১৫ জনের বেশি নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।

নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন বলেন, ছাত্রদলের মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। আমরা মিছিল নিয়ে এসএ পরিবহনের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। আমরা বাধা অতিক্রম করে মূল সমাবেশে পৌঁছালে দেখি লাভলেইন মোড় থেকে পুলিশ গুলি করতে করতে এগিয়ে আসছে। এতে ছাত্রদলের ১২ থেকে ১৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। তাদেরকে নগরীর বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা তিনপুলের মাথা থেকে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসে। তখন কোনো ঝামেলা হয়নি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ছাত্রদল মিছিল নিয়ে আসলে পুলিশ বাধা দেয়। নেতাকর্মীরা সেই বাধা সরিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে। সেখানেই পুলিশের সাথে হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষে জড়ায় নেতাকর্মীরা। এরপর পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ডা. শাহাদাতের নেতৃত্বে আসা যুবদলের মিছিলটি তখন পুলিশের সামনে পড়ে।

সন্ধ্যা ৬টায় কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যানবাহনও চলছে, মানুষের চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

চকবাজার থানার ওসি আতারউর রহমান খন্দকার বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ডা. লুসি খান নামে এক মহিলা চাঁদাবাজি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ মামলা করেছেন। সন্ধ্যায় আমরা প্রধান অভিযুক্ত ডা. শাহাদাত হোসনেকে আটক করেছি। অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন