চোর চক্রটির সর্দার মো. জব্বার মোল্লাহ। বয়স ৬৭। সাদা পাঞ্জাবি-লুঙ্গি, মাথায় চুপি এই বেশভূষাগুলোই এই মুরুব্বি চোর চক্রের প্রধান হাতিয়ার। দাড়ি টুপি-পাঞ্জাবি পরা থাকায় কোন অপরিচিত ভবনে উঠলেও প্রাথমিকভাবে কেউ তাদেরকে সন্দেহ করে না।
রবিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এই চোর চক্রের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা গুলাশান বিভাগ। রাজধানীর খিলক্ষেত থানার একটি বাসা থেকে স্বর্ণ, রূপা ও নগদ টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. জব্বার মোল্লাহ, মো. জামাল সিকদার, মো. আবুল, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার হোসেন ও আব্দুল ওহাব। এ সময় তাদের হেফাজত হতে প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণ, ৮২ ভরি রূপা ও নগদ প্রায় ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তাঁতীবাজার, পল্লবী থানা, ও গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আগস্ট মাসের ১৭ তারিখে খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ-২ এর ১৫ নম্বর রোড়ে ডাক্তার দম্পতির বাসায় দরজা ভেঙে চোরেরা ৪২ ভরি স্বর্ণ ও ইউএস ডলার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় রাজধানীর তাঁতীবাজার, পল্লবী থানা, ও গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোর চক্রের সর্দার ও স্বর্ণের দোকান মালিকসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ওই চোর চক্র শুধুমাত্র মূল্যবান অলংকার ও বিদেশি কারেন্সি, টাকা ইত্যাদি চুরি করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের সকল সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেফতারকৃতদের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বহুতল ভবনে নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা ও দারোয়ান রাখার জন্য বাড়িওয়ালাদের প্রতি অনুরোধ করেন ডিবি প্রধান।