বগুড়ায় স্বামীর প্ররোচনায় প্রেমের ফাঁদ পেতে প্রেমিকের মোটরসাইকেল ছিনতাই করে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বৃষ্টি আখতার (২০) নামের এক নারী। ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বৃষ্টির স্বামী সিরাজুলকে পুলিশ আটক করতে না পারলেও ছিনতাই করা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। দিনাজপুরের বিরামপুর থানা এলাকা থেকে ওই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পুরো ঘটনার বিষয়ে বৃষ্টি আখতার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
মঙ্গলবার এই তথ্য নিশ্চিত করেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস। গ্রেপ্তার বৃষ্টি বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের তেলধাপ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সেতুর স্ত্রী।
ওসি দীপক দাস জানান, সদর উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের এক কিশোর একটি অ্যাপাচি ফোরভি ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল চালাত। পার্শ্ববর্তী তেলধাপ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সেতু ওই মোটরসাইকেলটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পপনা করেন। তিনি তার স্ত্রী বৃষ্টিকে ওই কিশোরের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করতে রাজি করান। সেতু তার স্ত্রীকে কিশোরের মোবাইল নম্বরটিও সংগ্রহ করে দেন। স্বামীর কথামতো তার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রেমের ফাঁদ পাতেন বৃষ্টি। পরে স্বামীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই কিশোরের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন তিনি।
গত ৯ আগস্ট দুপুরে তারা দেখা করেন। এরপর গল্প করতে করতে ওই কিশোরকে নির্জন এলাকায় নিয়ে যান বৃষ্টি। সেখান থেকে বৃষ্টি মোবাইলে মেসেজ দিয়ে তাদের অবস্থান জানান স্বামীকে। এক পর্যায়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে তা পান করান ওই কিশোরকে। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মারধর করে তার মোটরসাইকেল এবং মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যান বৃষ্টি ও সেতু।
এ ঘটনা ১৪ আগস্ট কিশোরের মা শিবগঞ্জ থানার পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতায় পুলিশ বৃষ্টি আখতারকে আটক করে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। বৃষ্টির দেওয়া তথ্যে দিনাজপুরের বিরামপুর থানা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশি অভিযান টের পেয়ে আত্মগোপন করেন সেতু।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস জানান, বৃষ্টি আখতার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।