লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অণ্ডকোষ চেপে ধরে স্বামী ইসমাইল হোসেনকে (৪৫) হত্যার অভিযোগে এক গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব শালমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসমাইল হোসেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। নিহতের স্ত্রী ও অভিযুক্ত গৃহবধূ ইতিমনি (৩০) লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুরাকুটি পূর্বপাড়া গ্রামের জগদীশের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১২ বছর আগে ধর্মান্তারীত হয়ে মায়া রানী থেকে ইতিমনি নাম ধারণ করে ইসমাইল হোসেনকে বিবাহ করেন অভিযুক্ত গৃহবধূ। বিয়ের কয়েক বছর পরে ইতিমনি পূর্বের ধর্মীয় এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন জনের কাছে টাকা ঋণ করে পরকীয়া প্রেমিকের কাছে জমা করেন। সেই ঋণ পরিশোধ করতে স্বামী ইসমাইলকে চাপ প্রয়োগ করায় চরমভাবে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাতে টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে ইতিমনি প্রথমে তার স্বামী ইসমাইলকে দা দিয়ে আঘাত করেন। ইসমাইলের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে আপোষ করে দিয়ে চলে যান। এরপর দ্বিতীয় দফায় স্বামীর অণ্ডকোষ হাত দিয়ে চাপ দিয়ে (গোপনাঙ্গ) ধরলে তার মৃত্যু হয়। পরেস্থানীয়রা এসে ইতিমনিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। রাতেই পুলিশ ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতিমনি পরকীয়া করত। পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় তিনি আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা মামলা করব।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, নিহতের স্ত্রী ইতিমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।