ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দেরপাড়া গ্রামের। এ ঘটনায় পুলিশ তাহমিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন পাঁচ সন্তানের জননী তাহমিনা। এ ঘটনায় স্বামী মো. খোকন মিয়া বাদী হয়ে তাহমিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নূরপুর গ্রামের খোকন মিয়ার সঙ্গে প্রায় ১১ বছর আগে পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দেরপাড়া গ্রামের তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয়। খোকন পেশায় একজন ইটভাটা শ্রমিক। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ হতো।
তাদের ঘরে দুই ছেলে ও তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। সর্বশেষ দুই মাস আগে সাইমের জন্ম হয়। জন্মের সাত দিন পর স্বামীর বাড়ি নূরপুর গ্রামে সন্তানের নামকরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাপের বাড়ির কম লোকজনকে দাওয়াত দেওয়ায় এ নিয়ে খোকন ও তাহমিনার মধ্যে মনোমালিন্য নয়।
এ অবস্থায় তাহমিনা রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যান। পরিকল্পনা করতে থাকেন স্বামীকে শিক্ষা দেওয়ার। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে নিজের দুই মাস বয়সী শিশু সাইমকে বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন তাহমিনা। ওই দিন রাতেই তাহমিনা বাবার বাড়িসহ গ্রামের লোকজনকে বলতে থাকেন যে স্বামী খোকন মিয়া এসে শিশুসন্তান সাইমকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। রবিবার সকালে চান্দেরপাড়া গ্রামের লোকজন পুকুরে সাইমের লাশ দেখতে পায়।
দুপুরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় সোমবার সকালে তাহমিনাকে আটক করে পুলিশ।