অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ফেরদৌস আল হাসান ডিপজল। তিনি পায়রাবন্দের বিরহামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুসলিম হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, অন্যান্য দিনের মতো কলেজ শেষে দুপুরের দিকে বাবার বাড়ি ফিরছিলেন আরমিনা আক্তার। তিনি ভাংনি চৌপথির দক্ষিণ পাশে ছোট কালভার্ট পার হচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তার পাশে একটি কলাবাগানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তার স্বামী ফেরদৌস আল হাসান ডিপজল তার পথ রোধ করেন। পরে একটি হাতুড়ি বের করে মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। এতে আরমিনা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ডিপজল পালিয়ে যান।
এলাকাবাসী আহত আরমিনাকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেলে রেফার করেন চিকিৎসকরা।
আরমিনার বাবা আব্দুর রাজ্জাকসহ আত্মীয়-স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, এক বছর আগে জোর করে আরমিনাকে বিয়ে করেন ডিপজল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু হয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কয়েক মাসের মধ্যে বাবার বাড়ি পাশের কাফরিখালের বুজরুক তাজপুরে ফিরে যান আরমিনা।
বাবার বাড়ি ফিরে আরমিনা নতুন করে জীবন শুরু করতে আবারও লেখাপড়া শুরু করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকাসক্ত ডিপজল এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন আরমিনার পরিবারের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিঠাপুকুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তদন্ত করে এসেছে। মামলা প্রস্তুতি চলছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।