রাজধানীর ডেমরায় মাহমুদা আক্তার (৩৬) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) মৃতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ডেমরার বাঁশেরপুল আমিনবাগ এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে মৃতের ঝুলন্ত লাশ নিচে নামিয়ে ওই হাসপাতালে নেওয়া হয়। নিহত মাহমুদা ওই বাড়ির ছেলে ও এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী সুজন মিয়ার (৩৮) স্ত্রী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, দাবিকৃত ১ লাখ টাকা যথাসময়ে না দেওয়া ও পারিবারিক কলহের জের ধরে মাহমুদাকে হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছে সুজন। আর এ বিষয়ে মৃতের বাবা আশরাফ হাওলাদার সুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে সুজন ঘটনার পরই পালিয়ে যাওয়ায় তাকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের বাবা আশরাফ হাওলাদার বলেন, গত ২০ বছর আগে মাহমুদার বিয়ের সময় আমরা জানতামনা সুজন ছিল মাদকসেবী। সে এ পর্যন্ত ১০/১১ বার জেলে গিয়েও ভালো হয়নি। ওই সংসারে ৩টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। জেল জরিমানার কারণে সুজনের পেছনে সব টাকা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাহমুদা দর্জি কাজ করে সংসার চালাতো। আর সুজনদের বাড়ি ভাইদের মধ্যে বন্টন হওয়ায় সে আমার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করলে আমি কিছুদিন পরে যোগাড় করে দেব বলায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহমুদার সঙ্গে কলহ শুরু করে। ওই ধারাবাহিকতায় শনিবার সুজন ও মাহমুদার সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে মাহমুদার মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে যাবে। আর মাদক চোরাকারবারি সুজনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।