সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়িতে হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার ঘটনার অন্যতম সাক্ষী চুলাই লাল আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন রায়হানের মা সালমা বেগম। এছাড়া আরেক সাক্ষী হাসানকে সাক্ষ্য না দিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
রোববার রায়হান হত্যা মামলার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত হয়ে রায়হানের মা সালমা বেগম সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
সালমা বেগম বলেন,রায়হানকে কাষ্টঘরের চুলাই লালের ঘর থেকে সুস্থভাবে ধরে আনে পুলিশ। তাকে মারধর করে রায়হানকে ধরে আনা হয়। চুলাই লাল হলো প্রথম সাক্ষী। সে নাকি দুই মাস আগে মারা গেছে। এখন আমি শুনছি, কেউ কেউ বলছে, পুলিশও বলছে, সে নাকি আত্মহত্যা করেছে। আমি সঠিক জানি না সে আত্মহত্যা করেছে কিনা বা সে কিভাবে মারা গেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,মামলার আরেক সাক্ষী, যে পাশের কুদরতউল্লাহ মার্কেটের দুতলা থেকে, হাসান (সাক্ষী) নামের একজন বলেছিল, সারারাত আমার রায়হান যে কাঁদছিল, চিৎকার করছিল তিনি নিজের কানে শুনেছে। সকালে তিনি আমাদেরকে জানিয়েছিল যে, রায়হান মারা গেছে। তিনি এখন ঢাকায় আছে।
তাকেও এখন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কে বা কারা হুমকি দিচ্ছে? বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির একেবারে পাশেই হচ্ছে কুদরতউল্লাহ মার্কেট।
রায়হানের মা সালমা বেগমের অভিযোগ এবং চুলাই লালের আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে নগরীর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।