আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় সিলেটে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক জিডি-পি।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেট নগরের শেখঘাট খুলিয়াটুলা আবাসিক এলাকার নীলিমা-১৪ বাসা থেকে অভিনয়শিল্পী সনিয়ার গলাাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব।
গোয়েন্দা তৎপরতার পাশাপাশি ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে র্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সজিবের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ দুপুরেই নিহত সনিয়ার বড় ভাই পারভেজ আহমদ বাদী হয়ে সজিবকে প্রধান আসামি করে সিলেটের কতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক মোমিনুল হক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রায়ই সনিয়াদের বাসায় আসতেন সজিব। গত সাত দিন ধরে তিনি তাদের বাসায় অবস্থান করছিলেন নিজের গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসার কথা বলে। ঘটনার আগের দিন (১১ ফেব্রুয়ারি) সনিয়া চাকরির সন্ধানে সজিবকে নিয়ে বিয়ানীবাজার যান। সেখান থেকে ফেরার পথে সিলেট নগরের শেখঘাট এলাকায় সনিয়ার অসুস্থা খালাকে দেখে রাত ১২টার দিকে তারা বাসায় ফেরেন।
ঘটনার দিন সকালে সনিয়ার সৎ বাবা অসুস্থ থাকায় পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে দুপুর ১২টার দিকে সনিয়ার মা বাসায় ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে তার শয়নকক্ষে ঢুকে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সনিয়ার গলার বাম পাশে কাটা ও ডান হাতের কবজির রগ কাটা পাওয়া গেছে। পুলিশ তল্লাশি করে ঘটনাস্থলের খাটের তোষকের নিচ থেকে ধারালো রক্তমাখা একটি কাঁচি উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত সজিবের নামে ঢাকার ভাষানটেক থানায় মামলা রয়েছে। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে শিশু অপহরণ ও সহায়তার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছেন।