English

20 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

সাদিক অ্যাগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান, সরানো হলো ১৫ লাখ টাকার সেই ছাগল

- Advertisements -

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম’-এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। এতে খামারের আবাসিক কয়েকজন কর্মচারী বাধা দিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার পর সাদিক অ্যাগ্রোর খামার উচ্ছেদের কাজ শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ সড়কসংলগ্ন সাতমসজিদ আবাসিক এলাকায় খামারটির অবস্থান।

অভিযানে আলোচিত সেই ১৫ লাখ টাকার ছাগলটিসহ অন্যান্য গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়া হয়। ১৫ লাখ টাকা মূল্যের এই ছাগল কিনতে গিয়েই আলোচনায় আসেন এনবিআরের সদ্য সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। পরবর্তীতে একে একে বেরিয়ে আসে মতিউর রহমানের থলের বিড়াল।
উত্তর সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড অবৈধভাবে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করেছে। এ ছাড়া ওই অংশে রিকশার গ্যারেজ ও বস্তিঘরের মতো বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। সেগুলোই উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সাদিক অ্যাগ্রো মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্র খালের জায়গায় করা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অভিযান চালানো হচ্ছে না। খালের জায়গা যে বা যারা দখল করে রেখেছে, তাদের উচ্ছেদে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।’

এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের সংবাদ পেয়ে খাল ভরাট করে বসানো বস্তিঘরের বাসিন্দারা ছাউনির টিন ও বাঁশ-কাঠ খুলে ফেলতে শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১১টার পর ওই স্থানে সিটি করপোরেশনের ভারী যন্ত্র আনা হয়। পরে সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম, ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫–এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদসহ অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু হয়।
প্রথমে খামারের পশ্চিম অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়। এর নিচেই ছিল সাদিক অ্যাগ্রোর কার্যালয়। আর ওপরে টিনের ছাউনির একটি কক্ষে খামারের কর্মচারীদের থাকার কক্ষ ছিল। স্থাপনাটি ভাঙার সময় দোতলার কক্ষে দুই জন অবস্থান নিয়ে উচ্ছেদে বাধা দিলে পুলিশ সদস্যদের সাহায্যে তাদেরকে সেখান থেকে সরানো হয়। পরে ওই অংশ ভেঙে ফেলা হয়। পরে পেছনের দিকে থাকা অবৈধ স্থাপনাগুলোও ভাঙার কাজ শুরু হয়।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন