ফরিদপুরের সালথায় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে স্ত্রী, সন্তানদের হাতে মো. খালেক সর্দার (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের দক্ষিণ আটঘর গ্রামের মৃত মজিদ সর্দারের ছেলে খালেক সর্দার। এক ছেলে ও তিন মেয়ের জনক ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে গত ১৪ অক্টোবর রাতে খালেক সর্দারের সাথে তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম, মেয়ে রুনা আক্তার, সাবানা আক্তার ও তার স্বামী রিয়াজুল এবং ছেলে সাব্বির সর্দারের ঝগড়া হয়। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খালেক সর্দারকে বেধড়ক মারপিট করেন তারা। এতে খালেক সর্দার মারাত্মক আহত হন। আহতবস্থায় তাকে ফরিদপুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় ২৫ অক্টোবর ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের বড় ভাই মালেক সর্দার বলেন, জমির জন্য আমার ভাইকে রাতে বউ ছেলে-মেয়েরা বেধড়কভাবে মারপিট করে গোপনে হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর আমার ভাইয়ের লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি এনে কাউকে না জানিয়ে গোপনে দাফন করার পাঁয়তারা করলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে তাদের ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মেঝ মেয়ে সাবানার স্বামী রেজাউল হোসেন পালিয়ে যান।
সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে স্ত্রী ও সন্তানরা গত ১৪ অক্টোবর রাতে খালেক সর্দারকে মারপিট করে গোপনে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় ২৫ অক্টোবর তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর ছেলে মেয়েরা অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি নিয়ে এরে নিহতের ভাইয়েরা আমাদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। সেই সাথে নিহতের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলেকে থানায় নিয়ে এসেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।