ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক শিশুকে (৩ মাস) ৪০ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মা মুন্নি আক্তারের বিরুদ্ধে। বিক্রির পর অভিযুক্ত মা থানায় অভিযোগ করেন হাসপাতাল থেকে তার সন্তান নিখোঁজ হয়েছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান এ তথ্য জানান। এর আগে রোববার (২৬ মার্চ) সকালে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ওই নারী অভিযোগ করেন, ফরিদপুর শিশু হাসপাতাল থেকে কে বা কারা তার সন্তানকে নিয়ে গেছেন।
অভিযুক্ত মুন্নি আক্তারের স্বামীর বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উতরাইল গ্রামে। তার বাবার বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে। তিনি তিন মাসের ছেলে সন্তান রোহান ফকিরকে নিয়ে ভাঙ্গা উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে থাকতেন।
পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, রোববার মুন্নি আক্তার নিজের শিশুসন্তান নিখোঁজ হয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। পরে আধুনিক প্রযুক্তি ও শহরের সব সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় শিশুটি চুরি হয়নি। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত নারীর স্বামী ইমারত ফকির প্রবাসে থাকেন। প্রায় ছয় মাস আগে তার স্বামী বিদেশে গেছেন। মুন্নির অভাব কিংবা অন্য কোনো সমস্যা থাকতে পারে। ফরিদপুর শিশু হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি হওয়ার নাটক সাজান তিনি। তবে আছমা বেগমমের কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মা মুন্নি আক্তারসহ যারা শিশুটিকে কিনেছিলেন তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।