English

23 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

শিবগঞ্জে লম্পটের কু-নজর থেকে রক্ষা পেলনা বিধবা প্রতিবন্ধী নারী

- Advertisements -

বগুড়ার শিবগঞ্জের পল্লীতে এক বিধবা প্রতিবন্ধী (২৫) নারীকে এক বখাটে লাগাতার ধর্ষণ করার ফলে ওই প্রতিবন্ধী নারী এখন সাত মাসের অন্তস্বত্বা। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে এলাকার প্রভাবশালী ইউপি সদস্য। থানায় অভিযোগ দেওয়ার কারনে ধর্ষীতার বাবা মাকে প্রাণ নাশের হুমকিও প্রদান করছে ওই বখাটেসহ এলাকার প্রভাবশালী ইউপি সদস্য। ভয়ে, আতঙ্কে দিন পাত করছে ধর্ষীতা ও অভিযোগ কারী তার বাবা-মা। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক কে সদর থানার মাটিডালি এলাকা থেকে আটক করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের মোঃ বাকি উল্লার ছেলে আফজাল হোসেনের সাথে সাত বছর পূর্বে ওই প্রতিবন্ধী নারীর বিবাহ হয়। বিয়ের সাড়ে ৫ বছরের মধ্যে তাদের দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম নেয়। সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করলেও গত দেরর বছর পূর্বে হঠাৎ করেই মারা যায় ওই প্রতিবন্ধীর স্বামী আফজাল হোসেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর হতেই ওই প্রতিবন্ধী নারী দু’সন্তানকে নিয়ে স্বামীর ঘরেই বসবাস করে আসছিলেন। মানুষের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে, ভিক্ষা করে সন্তানদের নিয়ে কষ্ট করে দিন যাপন করছিলো ওই প্রতিবন্ধী নারী । হঠাৎ তার উপর কু-নজর পড়ে এলাকার ঘর জামাই বাদল মিয়ার।

এর আগেও বাদল একাধিক বিয়ে করেছে । বাদল গাইবান্ধা জেলার গবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসাপাড়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। বাদলের বর্তমান স্ত্রী বগুড়া শহরে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে। স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় একাই থাকতো বাদল। মাঝে মধ্যে সে বিধবা প্রতিবন্ধী নারী বাড়িতে যাতায়াত করতো। লম্পট বাদলের কুনজর থেকে রক্ষা পেলোনা বিধবা প্রতিবন্ধী নারী। সে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায় ধর্ষণ করতো প্রতিবন্ধী ওই নারীকে।

লাগাতার ধর্ষণের ফলে প্রতিবন্ধী নারী অন্তস্বত্বা হয়ে পড়লে ভয় পেয়ে যায় লম্পট বাদল। ভয়ে আশ্রয় নেয় গনকপাড়া গ্রামের মোঃ বিষা মিয়ার ছেলে এলাকার প্রভাশালী ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামের কাছে। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ইউপি সদস্য জাহিদুল ওই প্রতিবন্ধী কে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এলাকার কেও জানার আগেই বাদলের বাড়িতে রেখে দেয়। তাদের ধারনা ছিলো এক সময় বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেলবে। বাদলের বাড়িতে রোখছানাকে রেখে দেওয়ার ফলে ও বাদলের স্ত্রী না থাকার কারনে আবারো বাদল প্রতিনিয়তই ধর্ষণ করতো তাকে। আজ কাল করে প্রতিবন্ধীর পেটের বাচ্চাটা নষ্ট করতে পারেনি বাদল।

প্রতিবন্ধী নারীর গর্ভের সময় বাড়তে থাকলে তার চেহারায় পরিবর্তন আসার ফলে সন্দেহ হয় এলাকার সাধারণ মানুষের। কৌতুহলি নিকট জনেরা তাকে ডাক্তারী পরিক্ষা করালে বিষয়টি জানাজানি হয়। ডাক্তারী পরিক্ষায় জানা যায় বিধবা প্রতিবন্ধী নারী সাত মাসের অন্তস্বত্বা। অবস্থা বেগতিক হলে ধর্ষক বাদল আবার আশ্রয় নেয় এলাকার ইউপি সদস্য জাহিদুলে কাছে।

জাহিদুল ধর্ষককে এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও এলাকার সাধারণ মানুষের তোপের মুখে লোক দেখানো গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করে ইউপি সদস্য জাহিদুল। গত সাত মাস যাবত এলাকার ধর্ষনের বিষয়টি ইউপি সদস্য জাহিদুল জানলেও শুধুমাত্র টাকার কাছে বিক্রি হয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আইনগত কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এখনো এলাকার সাধারণ মানুষকে নানা ভাবে বিভ্রান্ত করছেন তিনি।

এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী’র মা নূর জাহান বেগম বলেন, আমি থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি অভিযোগ দেওয়া পর হতেই ইউপি সদস্য জাহিদুলসহ অজ্ঞাত কিছু লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি ভয়ে বাড়ির বাইরে যাইনা।

এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষনের শিকার বলেন, বাদল আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছে, আমি কাউকে কিছু বল্লে সে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে।

বিষটি নিয়ে ইউপি সদস্য জাহিদুল বলেন, প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেছে এটা সত্যি। সে বর্তমানে সাত মাসের অন্তস্বত্বা। আমি একটা বিচারের ব্যবস্থা করেছিলাম কিন্তু বিচারের দিন বাদল পালিয়ে গেছে। আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গ আসলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর, ধর্ষককে আটক করা হয়েছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন