রশিদুর রহমান রানা, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ এনে পুরুষাঙ্গ কেটে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাদারগাছি গ্রামে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহত আওয়ামী লীগ নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নিহত আওয়ামী লীগের নেতার নাম এরশাদুল ইসলাম(৩৮)। তিনি কিচকের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
আহত অবস্থায় এরশাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, জামিনে বের হওয়ার পর আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমার ওপর নির্যাতন করেছে রুবেলের স্ত্রী ও ভাই আব্দুর রহীম।
নিহতের ভাই শাহীন মিয়া জানান, পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা করা হয়েছিল।
অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী রুবেল মিয়া জানান, আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল এর আগে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা করেছিলো। সেই ঘটনায় থানায় মামলা হলে সে কারাগারে ছিলো। কিছু দিন আগে জামিনে বের হয়ে আবারো আমার স্ত্রীকে উত্যাক্ত করতে থাকে। সোমবার সন্ধ্যায় আমি বাজারে গেলে এরশাদুল আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীর হাত চেপে ধরে। এসময় আমার স্ত্রী চিৎকার করলে দৌড়ে পালিয়ে যায় এরশাদ। এঘটনার কিছুক্ষণ পর আবার আমার বাড়ি এসে স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এসময় আমার স্ত্রী ব্লেড দিয়ে এরশাদের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়। এরপর পুলিশ এসে আমার স্ত্রীকে আব্দুর রহীমকে আটক করে নিয়ে গেছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল আলম জানান, এঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।