বগুড়ার শিবগঞ্জে উদ্ধার হওয়া ফেন্সিডিল থেকে ৮৮ বোতল ফেন্সিডিল গায়েব। পরে বিক্রির অভিযোগে ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, বগুড়া শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী, মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহীনউজ্জামান এবং উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা।বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিল বিক্রির ঘটনায় অভিযোগ ওঠার পরপরই শাহীনউজ্জামানকে ওআর হেডকোয়ার্টার হিসেবে ও সুজাউদ্দৌলাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
একই ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুলকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুলিশ জানায়, গত ৩ এপ্রিল রাতে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করেন মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। চেকপোস্টে নেতৃত্ব দেন শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদস্যরা জানান, যানবাহন তল্লাশিকালে ঢাকাগামী বাস খালেক পরিবহন থেকে নাজিম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ বোতল এবং পিংকি পরিবহন নামের বাস থেকে সাইফুল ইসলাম নামের একজনকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন।
পিংকি পরিবহন থেকে উদ্ধার করা ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিল জায়গায় ১১০ বোতল জব্দ দেখিয়ে সাইফুলের নামে মামলা দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে বাকি ৮৮ বোতল ফেন্সিডিল সোর্সের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়ার পুলিশ সুপার মামলা ২টি ডিবিতে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
এছাড়া, পুলিশ সুপার গত ২০ এপ্রিল মোকামতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ফেন্সিডিল উদ্ধারের সময় উপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্য ছাড়াও মামলার সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।