কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় শাশুড়ি বকা দেয়ার ক্ষোভে শিশু বাপ্পিকে হত্যা করেন সৎ বাবা রুবেল সেলিম। সেলিম বৃহস্পতিবার কুমিল্লার আদালতে ১৬৪ধারা স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সেলিমকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেলিম বৃহস্পতিবার কুমিল্লার আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করেছে। সে জানিয়েছে, তার সন্তানকে সৎ ছেলে বাপ্পি মাথায় চাপ দেয়। এই ঘটনায় সে বাপ্পিকে থাপ্পড় দেয়।
বাপ্পিকে থাপ্পড় দেয়ায় তার শাশুড়ি তাকে বকা দেয়। এই ক্ষোভে গত শুক্রবার সকালে চকলেট ও সাইকেল চালানোর প্রলোভনে বাপ্পিকে নানার বাড়ি সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাটপাড়া তারাপুর গ্রাম থেকে নিয়ে যায়। তারপর গলায় দড়ি লাগিয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ ধান খেতে লুকিয়ে রাখে।
নিহত বাপ্পির নানা জালাল আহমেদ জানান, বাপ্পি আমার মেয়ের প্রথম সংসারের ছেলে। পরবর্তীতে চৌয়ারা বাজার সংলগ্ন ধনাজোড় গ্রামের রুবেল সেলিমের সাথে মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ৭ দিন আগে তাদের নতুন সংসারে একটি সন্তান জন্ম হয়। বাপ্পির নিখোঁজের ঘটনায় শনিবার সকালে থানায় নিখোঁজ জিডি করি।
বাড়ির পাশে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে আমাদের রুবেল সেলিমকে সন্দেহ হয়। কারণ বাপ্পির নিখোঁজ এবং সেলিমের আমাদের বাড়ি থেকে চলে যাওয়া একই সময়ে। এছাড়া তার আচরণও সন্দেহজনক ছিলো। পরবর্তীতে সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে বাপ্পির সন্ধান দেয়। সেলিম জানায় সিএনজি অটো রিকশার ধাক্কায় বাপ্পি মারা গেছে। তাই তার মরদেহ ধান খেতে ফেলে রেখেছে। এরপর থেকে সেলিম রুবেল পলাতক ছিল।