কোনো শত্রুতা নয়, নয় কোনো প্রতিহিংসা বা জমে থাকা ক্ষোভ। শুধু প্রতিবেশীর রান্নাঘরে দেড় বছরের শিশু মূত্রত্যাগ করার মাসুল দিতে হলো জীবন দিয়ে। ঐ শিশুর বোধশক্তির জন্মই যেখানে হয়নি সেখানে ৪৫ বছরের আরেকজন মা তাকে আছড়ে হত্যা করে মরদেহটি লুকিয়ে রেখেছিল চুলাতেই।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে শিশু আরাফাত হত্যার দায়ে আটক কোহিনুর বেগম। দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাদত হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোহিনুর তার রান্না ঘরে চুলার পাশে খেলতে খেলতে প্রসাব করে ফেললে কোহিনুর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং শিশুটিকে তুলে আচড়ে ফেলে দেয়। এসময় প্রচণ্ড আঘাতে শিশুটি মারা গেলে বস্তায় প্যাঁচিয়ে চুলার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পুলিশ জানায়, তাকে এ কাজে আরো ২/১ জন সহযোগীতা করেছে বলে কোহিনুর জানিয়েছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার দৌলতপুর ইউপির দাড়েরপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের শিশুপুত্র আরাফাত হোসেন গত শনিবার সকাল থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর আরাফাতকে খুঁজে না পেয়ে তার পিতা দৌলতপুর থানায় জিডি করেন।
এরপর ঐ শিশুর স্বজন ও থানা পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে শরিফুল ইসলামের প্রতিবেশী সফের উদ্দিন চুড়িওয়ালার বাড়ির রান্না ঘরের পরিত্যক্ত চুলার মধ্যে বস্তা দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশু হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ঐ বাড়ির মালিক সফের উদ্দিন চুড়িওয়ালার স্ত্রী কোহিনুর (৪৫) কে আটক করে পুলিশ।