পাশের গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনতে যান ইতি খাতুন। ফেরার সময় রাত হয়ে গেলে বন্ধু সাঈদকে বলেন বাড়ি পোঁছে দিতে। সাঈদ তাকে সাইকেলে নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছিলেন। পথেই তাঁদেরকে আটকে দেয় কয়েকজন।
নির্যাতনের শিকার ইতি বলেন, ‘আমাকে আনিচুর মেম্বার, আইয়ুব আলী, খোকন ও ভুট্টোসহ কয়েকজন মারপিট করে। তারা আমার কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। মারপিটের খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন এসে আমাকে ছাড়িয়ে আনে এবং হাসপাতালে ভর্তি করে। ’
ইতির বন্ধু পার্শ্ববর্তী বাগডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সাঈদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাত হয়ে যাওয়ায় ইতি তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলে। আমি তাকে সাইকেলে করে আব্দুলপুর গ্রামে নিয়ে যাই। এ সময় পথে কয়েকজন আমাদের গতিরোধ করে নাম পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় দেওয়ার পর তারা ইউপি মেম্বারকে ডেকে আনে। এরপর গ্রামের একটি দোকানে ঢুকিয়ে আমাদের মারপিট শুরু করে। ওরা ইতিকে অনেক মারপিট করে। আমাকেও মেরেছে। আমার কানে আঘাত লেগেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। ’
ইতির মা নাজমা বেগম বলেন, ‘বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফেরা কি অপরাধ? তারাতো আমাদের ডেকে বলতে পারতো। কিন্তু তারা আমার মেয়েকে এমনভাবে মারল। ফেসবুকে আমার মেয়ের মারপিটের ভিডিও ছড়িয়ে গেছে। আমার মেয়ের সম্মান আর থাকলো না। ’
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দাউদ হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার মেয়েটি, তার বাবা-মাসহ কয়েকজন আমার কাছে বিচার নিয়ে এসেছিল। আমি মেয়েটির কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। এভাবে কোনো সভ্য মানুষ কাউকে মারতে পারে না। এ কারণে আমি তাদের আইনি ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছি। ’
ডিবি পুলিশের ওসি রুপম কুমার সরকার বলেন, ‘মামলা পাওয়ার পর শুক্রবার সারারাত অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য আনিচুর রহমান, তার সহযোগী ভুট্টো, আজিম আলী ও তৌহিদ হাসানকে আটক করা হয়। আজ তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। ’