কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রুবেল (২১) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্ত্রী মারজিয়া খাতুন ও শাশুড়ি মর্জিনা খাতুনকে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (৯ অক্টোবর) রাতে ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে মেজবার শেখের মেয়ে মর্জিনার সঙ্গে রুবেলের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। রোববার তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে একটি মৃত মেয়ের জন্ম দেন।
সন্ধ্যায় রুবেলের স্ত্রীর মেজো ভাই মিঠু শেখ তাকে ফোনে তার স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। পরের দিন সোমবার সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সঠিক বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আকিবুল ইসলাম বলেন, রুবেলের বাবা বাদী হয়ে রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে আটক স্ত্রী ও শাশুড়ির নাম থাকায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন যে পারিবারিক কলহের জেরে তারা রুবেলকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।