মুন্সীগঞ্জ সদরের চরকেওয়ারে আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামে মামুন ও আহমেদ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া পারভেজ খা (২০) স্থানীয় পলাশ খার ছেলে। এ ঘটনায় অপর গুলিবিদ্ধ রাব্বি খাকে (২৯) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বাকিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরকেওয়ার ইউনিয়নের খানকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মামুন হালদার-নজির হালদার গ্রুপের সঙ্গে আহমদ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয় গ্রুপ দুটি।
তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে আবারও বিবাদে জড়ান দুই গ্রুপের সমর্থকরা । মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে রণক্ষেত্র পরিণত হয় গ্রাম দুটি। এতে গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ১০ থেকে ১২টি বসতবাড়ি। বর্তমানে গ্রাম দুটিতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আহমদ গ্রুপের আহমদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতে মামুন হালদারের ভাই সেলিম হালদার গ্রুপের লোকজন আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পারভেজ ও রাব্বিকে গুলি করে। সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পারভেজ মারা গেছে। এছাড়াও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন মামুন হালদার। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে আমাদের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল আহমদ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা।
পরে রাতে আমার লোকজনের বাড়িঘরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আমার ৮ থেকে ১০ জন কর্মী আহত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।