দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় যৌতুক দাবিতে মাথা ন্যাড়া করে এক গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় ওই নারীর স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৬ আগস্ট) দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার ১০ নম্বর রানীপুকুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া বিলাইমারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের পরদিন ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় স্বামীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন স্বামী মজিবর রহমান (৩৫), শ্বশুর আব্দুল হাসিম (৬০) এবং শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৮ বছর আগে ওই গৃহবধূর সঙ্গে মজিবর রহমানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে ওই নারীকে প্রায়ই নির্যাতন করে আসছেন মজিবর। এর জের ধরে শনিবার মধ্যরাতে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর শয়ন কক্ষে ঘুমাতে গেলে যৌতুক নিয়ে আসতে চাপ দেন শ্বশুর-শাশুড়ি। তা নাহলে তারা সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন।
যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্বামী তাকে মারধর করেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে শ্বশুর ও শাশুড়ির সহযোগিতায় ওই গৃহবধূর মাথার সামনের অংশ ন্যাড়া এবং পেছনের চুল ছোট করে দেন স্বামী মজিবর।
পরে সকালে ওই গৃহবধূ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এরপর ভুক্তভোগী তার বোনের সহযোগিতায় বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে তার স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ির নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।