বগুড়ার মহাস্থানে মাদকের প্রতিবাদ কারায় সাংবাদিকের পরিবারকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল। এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে মাদক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে মাসুয়ারা নেওয়া কথিত সাংবাদিক কর্তৃক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে প্রকৃত সাংবাদিককে হেয় প্রতিপন্ন করায় মহাস্থান প্রেসক্লাব থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মহাস্থান পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত মজনু মিয়ার পুত্র কুখ্যাত মাদক সম্রাট পুলিশের তালিকাভুক্ত একাধিক মাদক মামলার আসামী মামুনুর রশীদ মামুন। সে প্রায়ই মহাস্থান প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক গোলাম রব্বানী শিপনের মুদির দোকানের সামনে মোটরসাইকেল রেখে পাশের গলি দিয়ে বৈরীগত মাদক সেবীদের নিয়ে এসে প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল বিক্রি করে। তারা সেখানে সেবন করে ফেন্সিডিলের খালি বোতল ফেলে বীরদর্পে চলে যায়।
এঘটনায় বহুবার তারা মাদক ব্যবসায়ী মামুনকে নিষেধ করা সত্ত্বেও রবিবার সকাল ১০টায় মামুন পূর্বের ন্যায় ২ মাদক সেবীদের ডেকে গলির ভিতরে কমর থেকে মাদক দেওয়া মাত্রই সাংবাদিক গোলাম রব্বানী শিপনের মা নিষেধ করেন। এসময় মাদক সম্রাট মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে গিয়ে দৌড়ে বার্মিজ চাকু ও লোহার রড নিয়ে এসে শিপনের দোকানে হামলা চালায়।
একপর্যায়ে সাংবাদিক শিপনসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে এলে মাদক ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর মাদক সম্রাট মামুন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তার শ্বশুর আবু কালাম, ভায়রা জাকারিয়া, স্ত্রী কনিকা, শ্বাশুড়ি আছমা বেগম, শালিকা স্বর্ণাকে নিয়ে এসে আবারও দোকানে হামলা ও তার মা গোলেজা বেগমকে মারপিট করেন। এসময় মাকে রক্ষা করতে সাংবাদিক শিপন ও তার স্ত্রী এগিয়ে এলে মাদক ব্যবসায়ী মামুন তার পেটে বার্মিজ চাকুর আঘাত করলে সেটি লক্ষ্যচ্যুত হয়ে তার পেটে সামন্য আঘাত প্রাপ্ত হয়।
ঘটনায় গোলাম রব্বানী শিপন, মা গোলেজা ও শিপনের স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে থানায় খবর দিলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মনজুরুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মামুন কে? মামুন কি করেন?
মহাস্থানের ডাল কাউড়া মামুন নামে পরিচিত এই মাদক সম্রাটের একাধিক সুন্দরী নারী মাদক বিক্রি কাজে নিয়োগ দেওয়া রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী শিপন বলেন, আমি কি করি, আমি কেমন এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সবাই জানেন আমি কি রকম ব্যক্তি।
এঘটনা এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও মাদক ব্যবসায়ী মামুনের প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে কথিত কিছু হলুদ সাংবাদিক যারা মহাস্থান প্রেসক্লাবের বরাবরই বিপক্ষ ও মামুনের নিকট থেকে মাসুয়ারা নেয় তারা আমাকে হেয় করার প্রচেষ্টায় ফেসবুকে বিভিন্ন করুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস দিয়ে সমাজিক ভাবে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হেয়প্রতিন্ন করছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানাই।