উত্তরবঙ্গ থেকে চতুর্দেশীয় সড়ক যোগাযোগে ছয় লেনের (চার লেনের দুই ধারে ছোট যান চলাচলে দুই লেন) জাতীয় মহাসড়ক নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। যা চতুর্দেশীয় সড়ক যোগাযোগের নতুন দিগন্তের মাইল ফলক হিসেবে উন্মোচন করছে। জানা যায়, সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্প-২ এর আওতায় এই সড়কের দৈর্ঘ টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ও বগুড়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ দশমিক ৪ কিলোমিটার নির্মান করা হচ্ছে।
এই সড়ক ঢাকা থেকে রংপুর পর্যন্ত দ্রুত এবং নিরাপদ যাত্রার পথ সুগম হবে। বিচ্ছিন্ন কিছু কাজ বাকি আছে। এরইধারাবাহিকতায় সাসেক-২ প্রকল্পের উত্তরবঙ্গ বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানে মহাসড়কের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। মহাস্থান ত্রি-মোহনী নামক স্থানে নির্মান করা হচ্ছে আন্ডারপাস ফ্লাইওভার ব্রিজ। ব্রিজকে ঘিরে ভিতরে মজুদ করা হয়েছে মূল্যবান রড, পাইপ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। আর এখানেই পড়ে চোরদের হানা। প্রায় দিনই শোনা যায় এখান থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাজের সামগ্রী।
এরপর অনেকটা তৎপর হয়েও ঠেকাতে পারেনা এখানকার দায়িত্বরত নৈশপ্রহরী ও অন্যান্য পদস্থের কর্মচারীরা৷ কারন অনুসন্ধানে দেখা যায়, চোরদের সহজ পথ হলো মহাস্থান আন্ডারপাস ফ্লাইওভার এর পাশেই ৩টি ভাংড়ির দোকান রয়েছে। আন্ডারপাস থেকে ছুড়ে ফেললেই যেনো হাত বদল হয়ে যায়। পরিশেষে কপাল পুড়লো চোরের। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ২চোর রাস্তার ঢালাই কাজে ব্যবহারিত বিশাল একটি ওজনের লোহার পাটা চুরি করে অভিনত কায়দায় (শানমেশিন) দ্বারা কেটে টুকরা টুকরা করার সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের রাস্তার কাজের কর্মচারী বলে দাবি করেন।
একপর্যায়ে তাদের গতিবিধি পুরোপুরি সন্দেহ হলে এলাকাবাসী রাস্তার কাজে প্রধান সংশ্লিষ্টদের জানান৷ বিষয়টি ২ চোর শোনার পর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে একজন কে এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে আটক করেন। এবং ওপর জন পালিয়ে যায়৷ পরে মামুনুর রশিদ (২৮) নামের এক চোরকে আটক করে রাতেই বগুড়া সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তার বাড়ি মোকামতলা ইউপির চকপাড়া গ্রামে।
এবিষয়ে সাসেক প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ দিন থেকে আমাদের কাজের মালামাল চুরি হচ্ছে। এর আগে মহাস্থানের ৩টি ভাংড়ি দোকানকে আমাদের চোরা মালামাল কিনতে নিষেধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন চোরের নামও আমরা জেনেছি। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।