ভৈরবে নির্মাণাধীন মসজিদের নৈশ প্রহরী কামাল মিয়া (৪৫) কে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মুক্তাদির (২৪) সহ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প। বুধবার রাতে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের একটি অপারেশনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভৈরব পৌর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, মুক্তাদির(২৪), ফরহাদ মিয়া (২৬), সাজন মিয়া (২৮) ও আহসান উল্লাহ (২৬)।
তাদের মধ্যে প্রধান আসামি মুক্তাদির ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার ওহিদ মিয়ার ছেলে, ফরহাদ মিয়া কমলপুর পঞ্চবটির মারফত আলীর ছেলে, সাজন মিয়া একই এলাকার রতনের ছেলে এবং আহসান উল্লাহ একই এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে।
অন্যদিকে নিহত কামাল মিয়া ভৈরবের ঘোড়াকান্দা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি ঘোড়াকান্দা এলাকার নির্মাণাধীন একটি মসজিদের নৈশ প্রহরী ছিলেন।
এ বিষয়ে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের দুপুরে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান,
কামাল মিয়া ও জাকির মিয়ার সাথে মাদক ব্যবসায়ী ওমান ও তার সহযোগীদের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এই পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত ৩টায় ওমানের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাম দা, বল্লাম, চাপাতি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে কামাল মিয়া ও জাকির মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
এ সময় তাদের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা।
এতে কামাল মিয়া ও জাকির মিয়া গুরুতর আহত হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য উভয়কেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কামাল মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া জাকির মিয়া মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় মুক্তাদির, ফরহাদ মিয়া, সাজন মিয়া, আহসান উল্লাহসহ মোট ২৩ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা (নং-০৪, তারিখ-০২/০২/২০২২ খ্রি., ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/ ৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে মুক্তাদির, ফরহাদ মিয়া, সাজন মিয়া ও আহসান উল্লাহ এই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।